শ্বেতা মিত্র, কলকাতাঃ তথ্য প্রমাণ লোপাট এবং ক্রাইম সিন বিকৃত করার অভিযোগে বড় মাথাদের গ্রেফতার করেছে সিবিআই। এমনিতে যত সময় অতিবাহিত হচ্ছে ততই আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ-হত্যা মামলায় একের পর এক মোড় উঠে আসছে। কলকাতার আরজি কর-এ এক মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় প্রমাণ লোপাট এবং এফআইআর দায়ের করতে দেরি করার অভিযোগে শনিবার রাতে টালা থানার অফিসার ইনচার্জ অভিজিৎ মণ্ডল এবং আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই।
এদিকে প্রতিষ্ঠানে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে ২ সেপ্টেম্বর সিবিআই সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতারের করার পর থেকে তিনি বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন। যদিও এবার তথ্য প্রমাণ লোপাট এবং ক্রাইম সিন বিকৃত করার অভিযোগে দুজনকে গ্রেফতার করে শোরগোল ফেলে দিয়েছে সিবিআই। তবে এই গ্রেফতারির পরেও বিতর্ক যেন থামার নাম নিচ্ছে না।
গ্রেফতার টালা থানার ওসি
আজ রবিবার ওসি অভিজিৎ মন্ডল এবং সন্দীপ ঘোষকে আদালতে তোলা হবে। এদিকে প্রথম থেকেই এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আসছিলেন মানুষ। তবে সকলে হাতে চাঁদ পেলেন। আজ রবিবার সিজিও কমপ্লেক্স থেকে টালা থানার ওসিকে দেখে সাধারণ মানুষ ‘কলকাতা পুলিশ হায় হায়’ স্লোগান তোলেন। এমনকি তাঁকে জুতো অবধি দেখান বিক্ষোভকারীরা। তবে একটা বিষয় অনেকের মাথাতেই ঢুকছে না। প্রশ্ন উঠছে, টালা থানার ওসি-কে কোন সূত্র ধরে গ্রেফতার করল সিবিআই?
সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিজিৎ মণ্ডলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, প্রমাণ লোপাট, এফআইআর করায় বিলম্বের অভিযোগ আনা হয়েছে। ১২০বি, ২৩৮/১৯৯ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের বিরুদ্ধে। ৯ অগাস্টের ঘটনাক্রমের সময় সারণী নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের সময়ে নাকি বারে বারে হোঁচট খান অভিজিৎ মণ্ডল। এফআইআর অবধি করতে দেরি করেন। আর এটাই কার্যত সিবিআইয়ের গলায় কাঁটার মতো বিঁধতে থাকে বলে খবর।
সন্দীপ ঘোষের সঙ্গে যোগসূত্র
ঘটনার পরপরেই কেন সন্দীপ ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি তা নিয়েও সিবিআইয়ের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছিল অভিজিৎ মণ্ডলকে। CBI সূত্রে খবর, জেরায় টালা থানার ওসি স্বীকার করেন যে ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সন্দীপের বয়ান প্রথমে নেওয়া হয়নি। পরে চাপে পড়ে বয়ান রেকর্ড করে লালবাজার।