ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পর থেকে পড়ুয়াদের জন্য একের পর এক প্রকল্প চালু করেছেন। সে শিক্ষা ক্ষেত্রে হোক কিংবা কর্মক্ষেত্রে সকলের জন্যই আনা হয়েছে নানা প্রকল্প। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ও জনপ্রিয় হল তরুণের স্বপ্ন প্রকল্প। এই প্রকল্পের মাধ্যমে পড়ুয়াদের ট্যাব কেনার জন্য ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়। পশ্চিমবঙ্গ সরকার পরিচালিত স্কুল, সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুল এবং মাদ্রাসা স্কুলের পড়ুয়ারা এই সুবিধা পেয়ে থাকেন। আজকের প্রতিবেদনের মাধ্যমে জেনে নেওয়া যাক এই প্রকল্প সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।
এই প্রকল্প সংযুক্ত হল আরও এক নিয়ম
স্কুল ছাত্র ছাত্রীদের ভবিষ্যৎ সুনিশ্চিত এবং উন্নত করতে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে একটি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। আর সেই উদ্যোগের নাম হল ‘তরুণের স্বপ্ন প্রকল্প’। এই প্রকল্প ২০২১ সাল থেকে শুরু হয়েছে। তারপর থেকে প্রতি বছর দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের ট্যাব বা স্মার্ট ফোন কেনার জন্য ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়। তবে এবার এই প্রকল্পে আরও বড় উদ্যোগ নেওয়া হল। এখন থেকে শুধু দ্বাদশ নয় একাদশ শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীদেরকেও ট্যাব বা স্মার্ট ফোন দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। রাজ্যের বাজেট ঘোষণার সময় চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন যে, এইবার থেকে একাদশ শ্রেণীতেই তরুণের স্বপ্ন প্রকল্পের ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে।
সূত্রের খবর, শিক্ষা দপ্তর থেকে পাওয়া নোটিশ অনুযায়ী জানা গিয়েছে আগামী ২৯ আগস্ট এর মধ্যে প্রত্যেকটি সরকারী স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের একাদশ এবং দ্বাদশ উভয় শ্রেণীর নির্বাচিত ছাত্র-ছাত্রীদের লিস্ট ফাইনাল করতে হবে এবং তাদের স্কুল সার্টিফিকেট জেনারেট করে সেগুলিতে সিল করে আপলোডের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে হবে। এবং আগামী ৩০ আগস্ট থেকে ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত DI অফিস অর্থাৎ স্কুল ইন্সপেকশন অফিস থেকে জেলা স্তরের অনুমোদন এবং পেমেন্ট ফাইল জেনারেট করতে হবে। তবে সেক্ষেত্রে কোনো ছাত্রছাত্রীর যদি কাগজপত্রের ভুল বা ত্রুটি ধরা পরে তাহলে সেই সার্টিফিকেট বাতিল করে দেওয়া হবে এবং সেগুলি আবার স্কুলের কাছে ফেরত দেওয়া হবে।
কবে মিলবে টাকা?
এরপর ৪ সেপ্টেম্বর, ছাত্র ছাত্রীদের পেমেন্ট ফাইল জেনারেট করা হবে। এবং পরের দিন অর্থাৎ ৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষক দিবসের দিন ছাত্র ছাত্রীদের টাকা প্রদান করা হবে অ্যাকাউন্টে। তবে সেদিন সমস্ত ছাত্রছাত্রী যে টাকা পাবে তা কিন্তু নয় যে সকল স্কুল আগে সাবমিট করতে পারবে ছাত্র ছাত্রীদের তথ্য, তাঁরাই আগে টাকা পাবে।
প্রসঙ্গত ২০২০ সালে মহামারি কোভিডের কারণে পড়াশোনা প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। সে সময় পড়ুয়াদের অনলাইনের মাধ্যমে পড়ানো হয়ত। কিন্তু দরিদ্র পরিবারের পড়ুয়ারা স্মার্টফোন না থাকায় সেই সুবিধা গ্রহণ করতে পারত না। তাই সেই দিক বিবেচনা করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই উদ্যোগ নিয়েছেন। যাতে অনলাইনে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারে নিম্নশ্রেণীর পড়ুয়ারা।