প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: চলতি বছর নিম্নচাপের জেরে ভারী বর্ষণে প্লাবিত হয়েছে রাজ্যের পশ্চিমের একাধিক জেলা। বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমানে জমা জলের ওপর চাপ বেড়েছে। শুভ রয়েছে একাধিক রাস্তা ঘাট, ভাঙছে সেতু। আর এরই মাঝে ফের ব্যারেজ থেকে জল ছাড়া হয়েছে। যার ফলে সিঁদুরে মেঘ দেখছে জেলায় জেলায়। মূলত দামোদর তীরবর্তী এলাকায় বর্ধমান, হুগলি, হাওড়া, বাঁকুড়া বন্যা পরিস্থিতি আশঙ্কার বার্তা জানিয়ে সতর্ক করা হয়েছে।
ভয়ংকর বন্যা পরিস্থিতি আরামবাগে
সূত্রের খবর, আরামবাগ শহরের প্রধান সড়ক এইমুহুর্তে জলের তলায়। যার ফলে চরম বিপদের মুখে ১৫, ১৮, ২ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। অতি বৃষ্টি ও ডিভিসির জলাধার থেকে ছাড়া জলের চাপে ইতিমধ্যেই দ্বারকেশ্বর নদের বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে আরামবাগ মহকুমার বেশ কয়েকটি এলাকা। পাশাপাশি মনসাতলা এলাকায় বাঁধ ভেঙে দ্বারকেশ্বরের জল উপচে পড়েছে আরামবাগ পুরসভার বেশ কয়েকটি এলাকায়। জলের স্রোতে বিভিন্ন আনাজের গাছ এবং ফসল ভেসে গিয়েছে। মাথায় হাত পড়েছে চাষিদের। দ্বারকেশ্বর নদের ৪০ হাজার কিউসেক জল আসতে থাকায় আরামবাগ এলাকার বেশ কিছু বাড়ি জলমগ্ন। প্রায় ৩ ফুট উচ্চতায় জল বইছে।
কেন্দ্রের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ মন্ত্রীর!
এদিকে আরামবাগ পৌরসভার চেয়ারম্যান সমীর ভাণ্ডারীর অভিযোগ আরামবাগের দ্বারকেশ্বর নদের বিভিন্ন এলাকায় স্ল্যুইস গেটে অবস্থা খুবই সন্তোষজনক। সেই গেট দিয়ে রীতিমত অনর্গল জল ঢুকেই চলেছে বিভিন্ন এলাকায়। কিন্তু এলাকায় সেচ দফতরের কোনো কর্মীদের দেখা যাচ্ছে না। তার জেরে এই অভিযোগ পেয়ে সেচ মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া আরামবাগের প্রশাসনিক বৈঠকে আধিকারিকদের একাংশকে ধমক দেন। এছাড়াও তিনি ডিভিসির জল ছাড়া নিয়েও কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ করেন। মন্ত্রীর দাবি, ‘কোনো বারেই বন্যা নিয়ে বাজেট পাস হয়না কেন্দ্রে। এদিকে রাজ্যকে আগাম না জানিয়ে যখন তখন না এতো পরিমাণ জল ছেড়ে দিচ্ছে। তার জন্য বিপদে পড়তে হচ্ছে রাজ্যকে।
অন্যদিকে বানভাসি অবস্থা ঘাটালেও। নিম্নচাপের বৃষ্টির জেরে ক্রমেই শিলাবতী নদীর জলস্তর বেড়েই চলেছে। প্লাবিত ঘাটাল মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকা। একাধিক ঘরবাড়ি, রাজ্য সড়ক থেকে শুরু করে বিস্তীর্ণ এলাকা পুরো জলমগ্ন। কোনরকমে নৌকা ও ডিঙ্গি করে চলছে যাতায়াত। পাশাপাশি, ইলেকট্রিক না থাকার কারণে ঘাটালের শ্যামপুর সহ বেশ কিছু এলাকায় পানীয় জলের সংকট দেখা গিয়েছে।