ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: বর্ষার মরশুমে মিলছে না ইলিশের দেখা। এর আগে ভরা আষাঢ়েও সে ভাবে দেখা মিলছিল না ইলিশের। সেই একই অবস্থা হয়েছিল শ্রাবণেও। আগে এই সময় জাল ফেললেই ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ উঠত মৎস্যজীবীদের হাতে। কিন্তু এ বার সেই ছবিটা সম্পূর্ণ আলাদা। এখন ইলিশ ধরতে সমুদ্রে পাড়ি দেওয়া ট্রলারগুলি অধিকাংশই গড়ের মাঠ হয়ে ফিরছে। যার ফলে একদিকে ইলিশ না মেলায় যেমনক্ষতির মুখে পড়েছেন মৎস্যজীবীরা তেমনই ইলিশের স্বাদ ভরা বর্ষায় না পাওয়ায় কপাল এর দোষ দিচ্ছেন ক্রেতারা। তবে সম্প্রতি এবার আনন্দের খবর এল মৎস্যজীবীদের কাছে।
মৎস্যজীবীদের জন্য বড় খবর
জানা গিয়েছে, আর অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই রুপোলি শস্যের জোগান আরও বেশ খানিকটা বেড়ে যেতে চলেছে। আর তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাজারে ইলিশের দামও বেশ কমে যেতে চলেছে। তাই সেই পরিকল্পনা বাস্তবে রূপান্তরিত করতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার নামখানা, কাকদ্বীপ, পাথরপ্রতিমা, ডায়মন্ড হারবার থেকে বহু ট্রলার পাড়ি দিয়েছে গভীর সমুদ্রে। সূত্রের খবর দিন কয়েকের মধ্যেই আরও একবার টন টন ইলিশ নিয়ে ফিরবে ট্রলারগুলি। তখন স্থানীয় এলাকার বাজার সহ সমস্ত জায়গায় ভরে উঠবে ইলিশে।
বাজারে ইলিশের দাম অত্যাধিক!
বর্তমানে বাজারে ইলিশের দাম এখন বেশ চড়া। কোথাও বাজারে ৪০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছও বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ১ হাজার টাকায়। আবার কোথাও ৬০০-৮০০ গ্রাম ওজনের মাছ কেজি প্রতি ১২০০-১৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তাই অগত্যা খালি হতে মুখ বেঁকিয়ে ফিরতে হচ্ছে ক্রেতাদের। আসলে দাম বৃদ্ধি পাওয়ার মূল কারণ হল বাজারে ইলিশের জোগান কম। সমুদ্র থেকে যতই ট্রলার ভর্তি ইলিশ আনা হোক না কেন, বাজারে বাজারে অতটা পর্যন্ত ছড়াতে পারছে না। যার জন্য যোগানের ভিত্তিতে দাম এত বেশি পড়ছে।
আরও পড়ুনঃ আরেকটি নতুন রেলপথ পাচ্ছে বাংলা, বরাদ্দ হল কয়েক কোটি টাকা
তবে এবার আশা করা যাচ্ছে সেই দাম অনেকটা মসৃণ হতে চলেছে। বাজারে যদি ইলিশের জোগান অফুরন্ত হয় তাহলে ১ কেজি কিংবা তারও বেশি ওজনের মাছ বিক্রি হবে খুবই কম দামে। আর তখনই ভরা শ্রাবণে ইলিশের স্বাদ ফুটবে বাঙালির ঘরে ঘরে।