চিকিৎসকের চাকরি খেয়ে নেওয়ার হুমকি তৃণমূল নেত্রীর, চরম শিক্ষা দিলেন রোগীর পরিবাররা

Published on:

baruipur hospital

ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডের জেরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি গোটা রাজ্য জুড়ে। দফায় দফায় তিলোত্তমার সুবিচার চাইতে রাস্তায় রাস্তায় মহামিছিল এবং একের পর এক অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচি করেই চলেছে জুনিয়র ডাক্তারেরা। তবে তারা কিন্তু একা নয়। তাদের সঙ্গে পা মিলিয়েছে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বিশিষ্ট জনেরা। রাতভর বিক্ষোভ করছেন তারাও। আট থেকে আশি সকল মহিলা রাত দখলের লড়াইয়ে নেমেছে। আর এই আবহেই আরও একবার শাসকদলের নেত্রীর হুমকির মুখে পড়লেন এক চিকিৎসক।

ঘটনাটি কী?

সূত্রের খবর, বারুইপুর হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসকের সঙ্গে বচসা শুরু হয় এক যুবতীর। তাঁর নাম মুনমুন মোল্লা। সে আসলে একজন তৃণমূলের নেত্রী। গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার, চেস্ট এক্সরে করাতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেখানে তাঁকে বলা হয় ১০ জনের বেশি X-Ray করা যাবে না। এর ফলে লম্বা লাইন থাকায় তাঁকে চলে যেতে বলা হয়। আর সেই নিয়েই শুরু হয় ঝামেলা। আর এই ঝামেলার দরুন রীতিমতো চাকরি খেয়ে নেওয়ার হুমকি দিতে শুরু করেন ওই নেত্রী। গোটা ব্যাপারটার আঁচ পড়ে হাসপাতালে উপস্থিত বাকি রোগী এবং পরিবারগুলির ওপর। অত্যন্ত ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁরাও এই ঘটনার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান এবং বারুইপুর পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান।

WhatsApp Community Join Now

ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায় হাসপাতাল চত্বরে। শেষে রোগী ও তাঁদের পরিজনরা বারুইপুর থানায় অভিযোগ জানালে পুলিশ বাধ্য হয়ে আটক করে ওই তৃণমূল নেত্রীকে। কয়েকজন রোগীর মারফৎ জানা গিয়েছে, ‘বারুইপুরের এই হাসপাতালে ভালো চিকিৎসা চলছিল। ডাক্তারবাবু নিয়ম মেনেই লাইনে থাকা রোগীদের দেখছিলেন। ঠিক সেই সময় মেডিক্যাল করার জন্য ওই মহিলা কয়েকজনকে নিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু চিকিৎসক বলেছিলেন দুপুর ১টার পরে তাঁদের চেক আপ করা হবে। আর এই মন্তব্যের ফলে ওই মহিলা নেত্রী টেবিল চাপড়ে বলছেন এই তোর চাকরি খেয়ে নেব। কী বিরাট হুমকি দিচ্ছে।’

পুলিশের বয়ানে কী বললেন তৃণমূল নেত্রী?

তবে পুলিশকে দেওয়া বয়ানে মুনমুন বলেছেন, ‘আমাদের একটা প্রোজেক্ট চলছে আমেরিকার। সে জন্য এক্সরে লাগবে। কিন্তু হাসপাতালে আসার পরে বলা হয়েছে বুকের X-Ray ১০ জনের বেশি করা যাবে না। কারণ লম্বা লাইন ছিল। আমাদের বাইরে চলে যেতে বলল। বলল ১টার সময় ডেকে নেব। আমরা ওখানে বসে লুডো খেলছিলাম। এরপর বলল আবার লাইনে দিতে হবে। এরপর বলল ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলতে হবে। এর মধ্যেই চিকিৎসক এক কথায় দু কথায় গরু ছাগল বলে দেওয়ায়, তখন আমি বলেছি গরু ছাগল আমরা নাকি আপনি? এরপর আমাদের বলল বেরিয়ে যা। বললাম, আপনার চাকরি কী করে থাকে দেখব! আপনি শিক্ষিত ডাক্তার হয়ে আমাদের বলছেন গরু ছাগল। আমি বলেছি চাকরি কী করে থাকে দেখব! আমি সব সিস্টেম জানি।’

বাছাই করা গুরুত্বপুর্ন খবর পেতে গ্রুপে যুক্ত হোন