কাঁচড়াপাড়াঃ আরজি কর কাণ্ডের ভয়ংকর নারকীয় ঘটনার জেরে রাজ্য রাজনীতি রীতিমত উত্তাল হয়ে পড়েছে। চারিদিকে বিক্ষোভ মিছিল এবং রাত দখলের লড়াই এ কাঁপছে প্রশাসন। কলকাতা থেকে যাদবপুর, কলেজ স্ট্রিট থেকে ধর্মতলা গোটা শহর জুড়ে যেন চলছে প্রতিবাদ মিছিল। ঘটনার ২৬ দিন কেটে গেলেও এখনও কোনো সুবিচার মেলেনি। আর এই আবহেই এবার খবরের শিরোনামে উঠে আসছে তৃণমূলের কর্মকাণ্ডের কথা। একের পর এক শান্তিপূর্ণ মিছিলে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছে শাসকদলের একাংশ।
ঘটনাটি কী?
সূত্রের খবর ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার কাঁচড়াপাড়ায়। সেখানে গতকাল রাত্রে কাঁচড়াপাড়ার সকল মহিলারা গান্ধী মূর্তির পদদেশে ‘রাত দখলের’ কর্মসূচি চলছিল। আর সেই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিল এক নাবালিকা। বর্তমানে সে কাঁচড়াপাড়া সারদা দেবী উচ্চ বিদ্যালয়ের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। সেই গতকালের কর্মসূচির নেতৃত্ব দিয়েছিল। কিন্তু সেই সময় কর্মসূচি চলাকালীন আচমকাই মদ্যপ অবস্থায় একদল যুবক হুড়মুড়িয়ে ঢুকে পড়ে বিশৃঙ্খলা ঘটায়। পাশাপাশি তাদের ভাড়া করা মাইকটি দখল করে নেয়।
ছাত্রীর পরিবারকে হুমকি দলের ছেলেদের!
নাবালিকা মাইক চাইতে গেলে অভিযুক্তদের মধ্যে একজন একাদশ শ্রেণির নাবালিকার হাত মুচকে দেয় এবং ঘুষিও মারা হয়। পরে আবার ওই মদ্যপ অবস্থায় থাকা যুবকের দল নাবালিকার পরিবারকে হুমকি দেয়। গোটা ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়ে ছাত্রীর পরিবার এবং সঙ্গে সঙ্গে থানায় অভিযোগ দায়ের করে। বর্তমানে নাবালিকাক্যা কল্যাণী জওহরলাল নেহেরু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্ত ইতিমধ্যে শুরু করে দিয়েছে। আক্রান্ত ছাত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সে বলে, “আমি ওদের পরিচয় জানি না। হঠাৎ করে এসে মাইক কেড়ে নেয় এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। এবং মাইক চাইতে গেলে আমায় ঘিরে ধরে। ওরা সকলে মদ্যপ অবস্থায় ছিল।”
নাবালিকার বাবা জানান, “আমার মেয়ে মিছিলের নেতৃত্ব দিচ্ছিল। স্লোগান দিচ্ছিল। হঠাৎ করে গান্ধীমোড়ে তৃণমূলের মিছিল থেকে আসা একটি ছেলে ওর হাত মুচড়ে দেয়। ওর মা আমায় ডেকে নিয়ে গেলে আমি যাই ওইখানে। ছেলেটাকে জিজ্ঞাসা করি যে একটা মেয়ের হাত মুচড়ে দিলেন, কাজটা কি ভালো করলেন? আবার আপনারাই বলছেন জাস্টিস চাই? এবং এই কথা বলাতে সঙ্গে সঙ্গে আমায় মারতে আসে।” যা নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে স্থানীয়রা। তবে এই ঘটনায় এখনও তৃণমূলের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।