ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: মাছ ছাড়া বাঙালি যেন অনেকটা পৈতে ছাড়া বামন। আর সবচেয়ে লোভনীয় মাছের মধ্যে অন্যতম হল ইলিশ। বেশ কয়েক বছর ধরে বাঙালির নাগালের বাইরেই ছিল ইলিশ। জোগান কম থাকায় দামও ছিল আকাশছোঁয়া। তার উপর তব দুই মাস মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল সরকারের তরফ থেকে। তবে এখন রসনাতৃপ্তিতে বাঙালির নাগালের মধ্যে ইলিশ।
চলতি বছর আবহাওয়া এখন যথেষ্টই অনুকূল। তাই মৎস্যজীবীদের জালে উঠল অনেক ইলিশ। মরশুমের শুরুতেই এত ইলিশ ধরা পড়ায় চওড়া হাসি ফুটেছে মৎস্যজীবীদের। দেখা গিয়েছে গত তিন-চারদিনে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার কাকদ্বীপ, নামখানা, রায়দিঘি ও ফ্রেজারগঞ্জের মৎস্যজীবীরা জালবন্দি করেছেন প্রচুর ইলিশ। সমুদ্রফেরত ট্রলারে টন টন ইলিশের ভিড় দেখা গিয়েছে উপকূলীয় বন্দরগুলিতে।
জালে উঠল অসংখ্য ইলিশ!
আসলে পরিবেশের আমূল জলবায়ু পরিবর্তন এবং দূষণ এর কারণে প্রতি মরশুমে ইলিশের যোগান কমছে। বাদ যায়নি চলতি মরশুমও। বর্ষাকাল পরে গেলেও প্রথম দিকে ইলিশের জোগান একদম ছিল না বললেই চলে। তাইতো মরশুমের প্রথমে দিঘা মোহনা মৎস নিলাম কেন্দ্রে ইলিশ যোগানে ভাটা পড়েছিল। তবে সেই দুঃখ ঘুচতে চলেছে। শেষ তিন-চারদিন ধরে ইলিশের অনুকূল আবহাওয়া তৈরি হওয়ায় অবশেষে ঝাঁক ঝাঁক ইলিশের দেখা মিলল।
মাছের বাজারে ইলিশের রমরমা
প্রায় ৫০০ গ্রাম থেকে দেড় কেজি পর্যন্ত ইলিশ উঠেছে দিঘায় মৎস্যজীবীদের জলে। যা ৭০০ থেকে ২০০০ টাকা দর ইলিশের। আশা করা যাচ্ছে আগামী দু-তিন দিন আরও ইলিশ উঠবে। ইলিশের বাজার তখন বর্তমানের তুলনায় আরও অনেকটা সস্তা হবে। এদিকে একসঙ্গে এত পরিমাণ ইলিশ মাছ নিলাম কেন্দ্রে আসায় মৎস্যজীবীদের অন্দরে খুশির হওয়া বইছে। এদিকে প্রায় প্রতিদিন প্রায় প্রতিদিনই কাকদ্বীপ, নামখানা ফ্রেজারগঞ্জ, রায়দিঘির ঘাটে ট্রলার থেকে ম্যাটাডর ভর্তি করে ব্যবসায়ীরা আড়তদারদের কাছে ইলিশ আনছেন ডায়মন্ড হারবারের নগেন্দ্রবাজার পাইকারি মাছের আড়তে। যা পাইকারি বাজার থেকে ইলিশ কিনতে রাজ্যের বিভিন্ন বড় বড় খুচরো মাছবাজারের মৎস্য ব্যবসায়ীরাও ভিড় জমাচ্ছেন সেখানে।