ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: দিনে দিনে শহরের অলিগলিতে যেন গাড়ির সংখ্যা রীতিমত বেড়েই চলেছে। ফুটপাতের রাস্তা যেন ভরে গিয়েছে বিভিন্ন পরিবহন মাধ্যমগুলোর ভিড়ে। বাড়ছে বায়ুদূষণও। আর এই দূষণকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে রাজ্য দরকার নিয়মিত গাড়ির দূষণ পরিমাপ করার জন্য মেইন রোডে বিশেষ যন্ত্র স্থাপন করেছে। এবং দূষণের জরিমানা হিসেবে মোটা টাকা ধার্য করা হয়। কিন্তু এবার সেই নিয়মে আপাতত লাল কালির দাগ পড়ল। কারণটা জানলে চমকে উঠবেন। তাই আজকের প্রতিবেদনের মাধ্যমে সম্পূর্ণটা পড়ে নিন বিস্তারিত।
গত শুক্রবার কলকাতা ময়দানে পরিবহণ দফতরের তাঁবুতে আয়োজিত হয়েছিল একটি বৈঠক। সেখানে বেসরকারি পরিবহণ সংগঠনগুলি পরিবহণমন্ত্রীর কাছে জরিমানা কমানো ও দূষণ পরীক্ষা করার যন্ত্রের স্বাস্থ্যপরীক্ষার দাবি তোলে। মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী বিষয়টি বিবেচনার আশ্বাস দেন। এবং তার পরেই গত মঙ্গলবার পরিবহণ দফতরে এই সংক্রান্ত বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারির উদ্যোগ শুরু হয়।
বেসরকারি বাস মালিকদের তরফ ব্যাপক অভিযোগ
ওই দিন বৈঠকে বেসরকারি বাস মালিকদের তরফে মন্ত্রীকে জানানো হয়েছিল যে কলকাতার বিভিন্ন রাস্তায় গাড়ির দূষণ মাপার স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র বসানো হয়েছে। কিন্তু সেই যন্ত্রের আওতাধীন রাস্তা দিয়ে চলাচল করার পথে বৈধ ‘পলিউশন ইউটিলাইজেশন’ সার্টিফিকেট থাকা সত্ত্বেও গাড়ির মালিকদের মোবাইলে জরিমানা সংক্রান্ত বার্তা আসছে। এদিকে আবার কোনও গাড়ির দূষণ নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত নথির মেয়াদ ফুরিয়ে গেলে সাত দিনের মধ্যে যদি ওই গাড়ির ধোঁয়া পরীক্ষা না করানো হয় তাহলে ১০ হাজার টাকা জরিমানা বাধ্যতামূলক করার অনুরোধ করা হয়েছিল। এবার সেই অভিযোগ ও অনুরোধগুলিকে পর্যবেক্ষণ করল রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী।
বিজ্ঞপ্তিতে কী জানানো হয়েছে?
গত মঙ্গলবার জারি করা সেই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী জানা গিয়েছে, ধোঁয়ার কাগজ না-থাকলে এতদিন ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা দিতে হত গাড়ির চালকদের। কিন্তু এইমুহুর্তে সেই জরিমানার পরিমাণ এবার কমতে চলেছে। সর্বমোট ২ হাজার টাকা কমানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। কিন্তু কেউ যদি দীর্ঘ দিন দূষণ নিয়ন্ত্রণের শংসাপত্র না নেন, তা হলে সেই গাড়ির মালিককে ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা দিতে হবে। আপাতত প্রাথমিক ভাবে জরিমানা কমিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
রাজ্যের এই সিদ্ধান্তে বেশ খুশি অনলাইন ক্যাব অপারেটার্স গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক ইন্দ্রনীল বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘মাননীয় মন্ত্রী আমাদের বলেছিলেন, ১০ হাজার টাকার জরিমানা থাকবে না। তা অনেকটাই কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমাদের সমস্যা ঠিকঠাক ভাবে বিবেচনা করে রাজ্যের পরিবহণ দফতরে এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য ওনাকে ধন্যবাদ জানাই।’’