ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: রাজ্যে পরিবহন ব্যবস্থায় আরও এক জটিল সমস্যা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে আর সেটি হল টোটো পরিষেবা। অনিয়ন্ত্রিত ভাবে টোটো চালকদের বাড়বাড়ন্তে রীতিমত ক্ষুব্ধ প্রকাশ করছে গোটা প্রশাসন ব্যবস্থা। সেই কারণেই টোটোকে শৃঙ্খলায় বাঁধতে সব জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য পরিবহণ দফতর। অর্থাৎ টোটোর ওপর রাশ টানতে বড় ব্যবস্থা নিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। তবে কি বন্ধের পথে টোটো ব্যবস্থা?
রাস্তায় টোটো চালানো নিয়ে উঠে এল বড় অভিযোগ!
সূত্রের খবর, রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় টোটো চালকদের দাপট যেন বেড়েই চলেছে। তার মধ্যে বহরমপুর-সহ অন্যান্য এলাকায় দফায় দফায় টোটোর দৌরাত্ম্য যেন বেড়েই চলেছে। তাই আগামী ১৫ আগস্ট থেকে এবার ওই এলাকায় টোটো বন্ধের নির্দেশ জারি করা হল। বেশিরভাগ সময় দেখা যায়, বিভিন্ন জায়গায় টোটোর কোনওরকম রেজিস্ট্রেশন নম্বর না থাকায় সমস্যায় পড়তে হচ্ছে পুলিশ প্রশাসনকে। অনেক সময় এও দেখা যায় যে দুষ্কৃতীরা এই টোটো নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় অসাধু কাজকর্ম চালায়।
টোটোর বদলে চলবে ই-রিক্সা!
তাই মুর্শিদাবাদ জেলায় টোটোর উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তার বদলে চলবে ই-রিক্সা। কিন্তু এই ই-রিক্সা চালাতে গেলে দরকার রেজিস্ট্রেশন নম্বরের। সেক্ষেত্রে তাই ততদিন পর্যন্ত চলবে টোটো। জানা গিয়েছে প্রত্যেকটি ই-রিক্সাতে থাকবে পৃথক রেজিস্ট্রেশন নম্বর। যে সমস্ত গাড়িতে নম্বর থাকবে না সেগুলো পথে নামতে পারবে না। এই অবস্থায় টোটো চালকদের দাবি, কীভাবে আবার তাঁরা ই-রিক্সা কিনবেন? কারণ, আগেই ঋণ নিয়ে টোটো কিনেছেন। কিন্তু সেই প্রশ্নের কোনও জবাব মেলেনি।
এদিকে প্রশাসনের তরফ থেকে শহরে বেআইনিভাবে চলা টোটো চালকদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হওয়ায় অসুবিধার মধ্যে পড়েছেন কয়েক হাজার টোটো চালক। গত বৃহস্পতিবার টুকটুক (টোটো) চালক ঐক্য মঞ্চের পক্ষ থেকে মুর্শিদাবাদ জেলার আঞ্চলিক পরিবহন আধিকারিক শিবাশিস সরকারের কাছে সাত দফা দাবি সম্বলিত একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
প্রসঙ্গত, শিলিগুড়ির প্রধান সড়কগুলিতে বহুদিন আগে থেকেই টোটো নিষিদ্ধ করেছে রাজ্য সরকার। জানা গিয়েছে আগামী ১৫ আগষ্টের পরই টোটো নিয়ে নতুন SOP বা স্ট্যান্ডার্ট অপারেটিং প্রসিডিওর কার্যকর করবে ট্রাফিক পুলিশ ও পরিবহণ দপ্তর। ইতিমধ্যেই মেট্রোপলিটান ট্রাফিক পুলিশ পরীক্ষামূলকভাবে ওই এসওপির কাজ শুরু করে দিয়েছে। আর এই কাজে সহযোগিতা করছে শিলিগুড়ি পুরনিগম ও পরিবহণ দপ্তর।