ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডে রীতিমত উত্তাল গোটা রাজ্য রাজনীতি। দিকে দিকে যেন গোটা মহিলা সম্প্রদায় জেগে উঠেছে দিনের পর দিন মেয়েদের ওপর এই অনাচার হতে দেখে। তবে শুধু মহিলারা নয় পথে আন্দোলনে নেমেছে পুরুষেরাও। ন্যায্য বিচারের দাবি তাঁদেরও। আর এদিকে প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ উঠেছে বেশ কয়েক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। হাসপাতালে বিভিন্ন ফ্লোরে ভাঙচুর করা হয়েছে। আর এবার সেই সবটা তদন্তের জন্য মাঠে নেমেছে CBI।
মেয়েদের রাত দখলের লড়াইয়ে সম্মতি মৃতার বাবা, মায়ের
ব্যস্ত শহরের রাতে, নিজের চেনা পরিসরে নিজের কর্মস্থলে মহিলা চিকিৎসকের নৃশংস মৃত্যুকে একদমই মেনে নিতে পারছে না গোটা বাংলা সহ গোটা দেশ। চোখে জল বাঁধ মানেনি কারোর। সন্তানহারার অসহ্য যন্ত্রণা পানিহাটির ওই দম্পতির শোকে আজ বহু মায়ের বুক হাহাকার করে ওঠে, পাশাপাশি বহু বাবার কাছে প্রশ্ন থেকে যায় প্রশাসনিক নিরাপত্তা নিয়ে। স্বাধীনতার এত বছর পর হয়ে গেলেও এখনও মেয়েরা স্বাধীন নয়। তাই ৭৮ তম স্বাধীনতার আগের দিন রাতেই নারী নিরাপত্তা প্রশাসনের চোখে জাগিয়ে তোলার জন্য আগের দিন অর্থাৎ ১৪ আগস্ট মধ্য রাতে যাদবপুর থেকে দিঘা, দিনাজপুর থেকে অ্যাকাডেমি চত্বর সমস্ত জায়গায় নারীদের প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। এদিকে রাজ্যীর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফে ১০ লাখ টাকা আর্থিক সাহায্য করারও প্রস্তাব দেওয়া হয়।
ক্ষতিপূরণ গ্রহণে নারাজ মৃতার বাবার
অন্যদিকে হাইকোর্টের নির্দেশে এই লড়াইয়ে মাঠে নেমেছে CBI। এমনকি তাঁদের অফিসাররা মৃতা চিকিৎসকের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে কথা বলেছেন। কিন্তু CBI এর সঙ্গে মৃতার বাবার ঠিক কী কথা হয়েছে সেটি সংবাদমাধ্যমকে জানাতে চাননি মৃতার বাবা। কারণ তিনি মনে করেন এটি প্রকাশ্যে আনা কার্যত অপরাধ। আর এইমুহুর্তে তিনি এখন ন্যায়বিচার চান। তবে তাঁর মেয়ের মৃত্যুতে যেভাবে গোটা দেশ আন্দোলন মিছিলে নেমেছে তার জন্য তিনি অভিনন্দন জানিয়েছেন এবং আন্দোলনে সামিল মেয়েদের নিজের মেয়ে বলে সম্বোধন করেছেন।
অন্যদিকে রাজ্য সরকারের দেওয়া ক্ষতিপূরণের টাকা নিয়েও অস্বীকার করেছেন মৃতার বাবা। তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন ‘আমরা যদি ওর জীবনের পরিবর্তে টাকা নিই, তাতে ও খুব দুঃখ পাবে। আমি যদি কোনও বিচার পাই, তবে অবশ্যই সেই টাকা নিয়ে আসব।’ এছাড়াও তিনি আরও বলেছেন, ‘CBI আমাদের নিশ্চিত করেছে অভিযুক্ত আগেই গ্রেফতার হয়েছে। তাকে চরম শাস্তি দেওয়া হবে।’ আর এদিকে আজ রাজপথে নামতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দোষীর ফাঁসির দাবিতে তাঁর এই মিছিল।