ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: গত মাসের ৯ তারিখ আরজি কর হাসপাতালে দ্বিতীয় বর্ষের এক ডাক্তারি পড়ুয়াকে ধর্ষণ করে নৃশংসভাবে খুনের অভিযোগ ওঠে। আর তারপরই তোলপাড় হয়ে ওঠে রাজ্য রাজনীতি। সুবিচারের তাগিদে অবস্থান বিক্ষোভ, মিছিল , কর্মসূচি এবং রাত দখলের লড়াইয়ে নামেন মহিলারা। মহিলাদের সুরক্ষা দেওয়ার জন্য চলে দফায় দফায় আন্দোলন। এমনকি রাজ্যের একমাত্র কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের সুরক্ষা দেওয়ার জন্যও বৈঠক করা হয়। আর এর মাঝেই এবার এক ছাত্রীর রহস্য মৃত্যুকে নিয়ে তৈরি হল বড় শোরগোল।
ঘটনাটি কী?
সূত্রের খবর, মৃত ছাত্রীর নাম অনামিকা সিংহ। তিনি ছিলেন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্প সদনের স্নাতক তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী। উত্তর প্রদেশের বারানসীতে তাঁর বাড়ি। থাকতেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস সংলগ্ন আম্রপালি হস্টেলে। বেশ কিছুদিন ধরেই একা থাকছিলেন ওই ছাত্রী। বন্ধুদের থেকে আলাদা হয়ে খুবই কম কথা বলছিলেন। কিন্তু হঠাৎই ঘটে যায় এই ভয়ংকর ঘটনা। গতকাল অর্থাৎ শিক্ষক দিবসের জন্য শিল্প সদনে অনুষ্ঠানের আয়োজন চলছিল ঠিক সেই সময় আচমকাই তাঁর অসুস্থতার খবর শোনা যায়। এক মুহুর্ত অপেক্ষা না করে হস্টেল কর্তৃপক্ষ দ্রুত তাঁকে বিশ্বভারতীর নিজস্ব হাসপাতাল পিয়ারসন মেমোরিয়ালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার এতটাই অবনতি ঘটে যে তাঁকে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে সঙ্গে সঙ্গে ট্রান্সফার করা হয়। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। শেষে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েন এই ছাত্রী।
চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ক্যাম্পাসে!
জানা গিয়েছে, গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭:৪০ মিনিটে বোলপুর সিয়ান হাসপাতালে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে ভিন রাজ্য থেকে পড়তে আসা বিশ্বভারতী ছাত্রীর হঠাৎ এই অস্বাভাবিক মৃত্যু নিয়ে। কী কারণে এমন পরিণতি হল? তাঁর এই অকাল প্রয়াণে শোকস্তব্ধ গোটা ক্যাম্পাস চত্বর। কীভাবে এমন ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষও। যদিও প্রকাশ্যে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে খোঁজ-খবর চালাচ্ছে শান্তিনিকেতন থানাও।
প্রসঙ্গত, বেশ কিছুদিন আগে আরজি কর কাণ্ডের জেরে বিশ্বভারতীতে পাঠরত দেশ-বিদেশের ছাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বীরভূমের পুলিশ সুপার রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায়, মহকুমা পুলিশ আধিকারিক রিকি আগারওয়াল-সহ বিশ্বভারতীর আধিকারিকরা। ছিলেন বিভিন্ন ভবনের ছাত্রীরাও। তার কিছুদিন পরেই এমন ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।