চাকরি বাতিলের মাঝেই ঝুলে রয়েছে 60 হাজার চাকরিপ্রার্থীর ভবিষ্যৎ! এখনও অধরা পড়ে রয়েছে প্রাথমিক টেট মামলা! গত সোমবার SSC নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় ২০১৬ সালের পুরো প্যানেল বাতিল করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। একদিনেই প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক শিক্ষিকার চাকরি বাতিল করা হয়েছে। সঙ্গে বেতন ফেরতের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। দিশেহারা অবস্থা শিক্ষা ব্যবস্থায়। কিন্তু এর মাঝেই প্রশ্ন উঠছে আরও একটি মামলার। আর সেটি হল প্রাথমিক টেট মামলা।
২৬৯ জনের নিয়োগ বাতিল!
জানা গিয়েছে SSC র মত TET পরীক্ষার মাধ্যমে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের একাধিক গোলযোগ ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। তখন হাইকোর্টের বিচারপতি ছিলেন বর্তমানে তমলুক বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই সময় এই মামলায় প্রথমবার তিনিই CBI তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। এবং বাতিল করেছিলেন ২৬৯ জনের নিয়োগ। এমনকি এই দুর্নীতি নিয়োগ মামলায় বহিষ্কার ও গ্রেফতার করা হয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক চট্টোপাধ্যায়কে। তবে এই মুহূর্তে সেই মামলা কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিংহ এর অন্তর্গত।
প্রাথমিক শিক্ষা নিয়োগে কারচুপি!
শুধু এই একটি মামলা নয়। আরও একটি মামলা করা হয়েছিল হাইকোর্টে। মামলাকারীদের অভিযোগ ছিল বেআইনি পদ্ধতিতে প্রাথমিকে চাকরি দেওয়া হয়েছিল অনেককেই। এমনকি নিয়োগের আগে ইন্টারভিউ নেওয়া এবং অ্যাপটিটিউড পরীক্ষাও সঠিক ভাবে নেওয়া হয়নি। সেই মামলাতেও প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ৩২ হাজার চাকরি বাতিল করে দিয়েছিল। এই মুহূর্তে সেই মামলাটি বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর অন্তর্গত।
এদিকে ২০১৪ সালের প্রাথমিক TET পরীক্ষাতে নানা গণ্ডগোল এবং অভিযোগ তুলেছিল বেশ কিছু চাকরিপ্রার্থী যার জেরে CBI কে ২০১৪ এর TET পরীক্ষার OMR SHEET এর নথি তদন্ত করার গুরুদায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু পর্ষদ আদালতে জানিয়েছে আসল নথি বা হার্ডকপি নষ্ট হয়ে গিয়েছে। তবে ডিজিটাইজড ফাইলে সমস্ত তথ্য সংরক্ষণ করা রয়েছে। এই অবস্থায় বিচারপতি রাজশেখর মান্থা জানিয়েছেন কোনো তথ্য যদি আদালতে সঠিক ভাবে পরিবেশন না করা হয় তাহলে ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষা সম্পূর্ণ বাতিল করা হবে।