ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: রাজ্যের মহিলাদের অর্থনৈতিক উন্নতি যাতে চড়চড়িয়ে বাড়ে তার জন্য রাজ্য সরকার একের পর এক প্রকল্প চালু করেই চলেছে। তার মধ্যে অন্যতম হল ‘কন্যাশ্রী’, ‘রূপশ্রী’ এবং লক্ষ্মীর ভান্ডার। ইতিমধ্যেই লক্ষ্মীর ভান্ডার তৃণমূল সরকারের যাচ্ছে জয়ের এক বড় অস্ত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে। মাসে মাসে কড়কড়ে নগদ ১০০০-১৫০০ টাকা পাচ্ছেন রাজ্যের মহিলারা। তবে এইসব ছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে আরও একটি প্রকল্প চালু হয়েছিল। সেটি হল ‘জাগো প্রকল্প’।
এই প্রকল্প আসলে চালু করা হয়েছিল স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের সাহায্যের জন্য। রাজ্যের স্বনির্ভর গোষ্ঠী এবং স্ববলম্বন দফতর এই প্রকল্প পরিচালনা করে থাকে। আর এবার সেই আবহেই রাজ্যের সকল স্বনির্ভর মহিলা গোষ্ঠীর জন্য এক বিরাট সুযোগের আয়োজন করেছে রাজ্য সরকার। বাড়তে চলেছে অর্থের পরিমাণ। যা শুনলে চমকে উঠবেন আপনিও। আজকের প্রতিবেদনের মাধ্যমে সম্পূর্ণটা জেনে নিন বিস্তারিত।
স্বনির্ভর গোষ্ঠীর অন্দরে বাড়ছে মহিলার সংখ্যা!
পরিসংখ্যান অনুযায়ী জানা গিয়েছে ২০১১ সালে রাজ্যে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সংখ্যা ছিল ৪.৭২ লক্ষ। সেই সংখ্যা ২০১৯-এ অনেকটাই বেড়েছে। ২০১৯ এ স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সংখ্যা হয়েছে ৯.৬৯ লক্ষ। এছাড়াও ২০১১-১২ অর্থবর্ষে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মোট ঋণের পরিমাণ ছিল ৫৫৩ কোটি টাকা। ২০১৮-১৯ আর্থিক বছরে সেই ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭০০০ কোটি। আর এই আবহেই এবার সরকার এককালীন সাহায্যের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিশেষ করে গত এক বছর ধরে যে-সব স্বনির্ভর গোষ্ঠী সক্রিয় হয়ে কাজ করছে, তাদেরই সাহায্য করা হবে সরকারের পক্ষ থেকে।
স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে দেওয়া হবে বিরাট অনুদান!
আসলে পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির মাধ্যমে অনেক মহিলার উপকার হয়েছে। হিসেব অনুযায়ী প্রায় এক কোটি মহিলা নিজেরা উপার্জনের ব্যবস্থা করেছেন। দেখা গিয়েছে কয়েক হাজার গোষ্ঠী নিয়মিত ব্যাঙ্ক ঋণ নিয়ে জোর কদমে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। আবার ঠিক সময় অনুযায়ী সেই টাকা ফেরৎ ও দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু কেন্দ্র মুদ্রাঋণ চালু করায় অনেক জায়গায় স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যারা সেই প্রকল্পের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের এই প্রকল্পে যাতে কোনো বাঁধা না আসে, সেই জন্য রাজ্যে প্রায় ১০ লক্ষ স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে ৫০০০ টাকা করে দেওয়া হবে।