ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: চলতি শিক্ষাবর্ষে জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়ম অনুযায়ী ছাত্র ছাত্রীদের পড়াশোনায় আমূল পরিবর্তন হতে দেখা গিয়েছে। শুধু সিলেবাস পরিবর্তন নয়। প্রতিটি শ্রেণীর পরীক্ষার প্যাটার্নও বেশ পরিবর্তন হয়েছে। এমনকি একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীতে এই বছর থেকেই চালু হতে চলেছে সেমিস্টার পদ্ধতি।
যেহেতু বিদ্যালয়ের এই সেমিস্টার পদ্ধতি সম্পূর্ণ নতুন ছাত্রছাত্রী সহ শিক্ষকদের কাছে তাই সেই ব্যাপারে অভ্যস্ত হওয়ার জন্য বেশ অনেকটা সময় লাগবে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রতি বছর উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের বাংলা, ইংরেজি-সহ প্রথম ও দ্বিতীয় ভাষার সমস্ত বই বিনামূল্যে দেওয়া হয় থেকে ছাত্র ছাত্রীদের। এবারেও তাই হওয়ার কথা। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত এখনও সেই বইগুলো স্কুলে এসে পৌঁছোয়নি। এদিকে আগামী ১০ জুন থেকে স্কুল শুরু হওয়ার কথা। মহাবিপদে পড়েছে ছাত্রছাত্রী সহ পড়ুয়ারা।
স্কুলে নেই একাদশ, দ্বাদশ এর বই
উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে ইংরেজি, বাংলা-সহ মোট ৬টি ভাষা রয়েছে। তার মধ্যে সাঁওতালি ও উর্দু ছাড়া প্রত্যেকটি ভাষার প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র রয়েছে। তাই বই ছাপানো, বিভিন্ন ক্ষেত্রে পর্যবেক্ষণ করা এবং প্রুফ রিডিং সব মিলিয়ে সেই বইগুলি বাজারে আসতে অনেক সময় নিয়ে নিচ্ছে। আশা করা হচ্ছে জুন মাসের তৃতীয় সপ্তাহে ঢুকবে বইগুলি। তাই পড়ুয়াদের কথা চিন্তা ভাবনা করে এক চরম সিদ্ধান্তে এসে পৌঁছল শিক্ষা সংসদ।
বইয়ের বিকল্প বার করল সংসদ
বিকল্প পদ্ধতি হিসেবে সংসদ PDF কে বেছে নিয়েছে। অর্থাৎ গতকাল সংসদ তাদের ওয়েবসাইটে প্রথম ও দ্বিতীয় ভাষার সমস্ত বই PDF করে আপলোড করল। সেখান থেকে পড়ুয়াসহ শিক্ষক শিক্ষিকারা PDF ডাউনলোড করে নিতে পারবে। এর জন্য কোন রকম মূল্য লাগবে না অর্থাৎ বিনামূল্যে ডাউনলোড করতে পারা যাবে। সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের সঙ্গে বৈঠক করে বলেন, ‘সংসদের ওয়েবসাইটে বাংলা, ইংরেজি-সহ প্রথম ও দ্বিতীয় ভাষার সমস্ত বই PDF এ মিলবে। পড়ুয়া ও শিক্ষক-শিক্ষিকারা সেই বই ডাউনলোড করতে পারবে।’
আরও পড়ুনঃ DA অতীত, এবার মিলবে ইনক্রিমেন্ট! রাজ্যের কর্মীদের বড় উপহার পশ্চিমবঙ্গ সরকারের
কিন্তু শিক্ষা সংসদের এই সিদ্ধান্তে শিক্ষা মহলে নানা প্রশ্ন উঠে এসেছে। তাঁদের দাবি শহরে ইন্টারনেট ব্যবস্থা খুব ভালো থাকায় সংসদের এই সিদ্ধান্ত সহজেই মেনে নেওয়া যায়। কিন্তু গ্রামাঞ্চলের পড়ুয়াদের পক্ষে সেই বই আপলোড করে পড়া কি সম্ভব? সবার বাড়িতে আবার স্মার্ট ফোন নাও থাকতে পারে, সেক্ষেত্রে তাঁদের কী হবে? যদি সংসদ প্রথম থেকেই কোনো ব্যবস্থা করতেন তাহলে PDF ডাউনলোড করে পাঠ্য বই পড়তে হত না।