খেল দেখাচ্ছে বাংলার বিদ্যুৎ বিভাগ! নয়া চার্জ লাগিয়ে পাঠাচ্ছে বিশাল বিল, আপনি পেলেন?

Published on:

CESC

ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: গত মাস পর্যন্ত গরমের তীব্র দাবদাহে একেবারে নাজেহাল অবস্থা ছিল রাজ্যবাসীর। যেই কারণে এই গরমের হাত থেকে বাঁচতে সারাক্ষণ ঘরে AC, কুলার, পাখা চালিয়ে রাখা হত। তার ফলে মাসের শেষে অনেকেরই বিপুল অংকের ইলেকট্রিক বিল এসেছে। কিন্তু সমস্যা সেখানেই। CESC নাকি এবার বাড়তি টাকা চার্জ করে চলেছে গ্রাহকদের। যার জেরে মাথায় চিন্তার হাত পড়ল CESC গ্রাহকদের।

হাজার হাজার টাকার বিদ্যুৎ বিল

জানা গিয়েছে, বেহালার গোপাল মিশ্র রোডের বাসিন্দা এবং CESC গ্রাহক কোয়েল চক্রবর্তী অধিকারী। প্রত্যেক মাসে হাজার হাজার টাকা বিল আসছে তাঁর বাড়িতে। এপ্রিল মাসে AC চললেও, বিলের ভয়ে হিসাব করে চালিয়েছেন, আর তাতেই এসেছিল ১২ হাজার টাকার বেশি। অভিযোগ জানানো হয় সংস্থায়। এবং খবর পেয়ে বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ পরীক্ষা করা হয়েছে। কিন্তু কোনো পরিবর্তন হয়নি। উল্টে পরের মাসের বিল আবারও সেই পেল্লাই। তাই এই প্রসঙ্গে মহিলার বক্তব্য, ‘বিলের পিছনে একটা বিষয় রয়েছে, যেটা কখনও বুঝতেই পারি না। বিলের পিছনে লেখা থাকে FPPAS চার্জ। সেটা কোনও মাসে আসে ১৭২ টাকা, কোনও মাসে ১০৭ টাকা। এটা একেকবার কীসের হিসাব হচ্ছে বুঝতে পারছি না। এখন তো এই গরমে AC টাও চালাতে ভয় পাচ্ছি।’ এখন প্রশ্ন হচ্ছে বিলের মধ্যে থাকা FPPAS চার্জ টা কী?

WhatsApp Community Join Now

কী FPPAS?

সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, FPPAS শব্দের ফুল ফর্ম ‘ফুয়েল অ্যান্ড পাওয়ার পারচেজ অ্যাডজাস্টমেন্ট সারচার্জ’। আসলে সোজা কোথায় এটি হল জ্বালানি ও বিদ্যুৎ ক্রয় সামঞ্জস্য সারচার্জ। ২০২২- এ বিদ্যুৎ মন্ত্রক জারি করে এই চার্জ। বিদ্যুতের বিল বাড়া বা কমা নির্ভর করে এই চার্জের ওপরেই। জ্বালানি ও বিদ্যুৎ ক্রয়ের খরচ যতটা বাড়বে, সমানুুপাতিক হারে বাড়বে এই বিদ্যুতের বিল। সেই চার্জ কিন্তু প্রত্যেক মাসে ওঠানামা করে। CESC-এর ওয়েবসাইটেও FPPAS চার্জ প্রত্যেক মাসেরটা আপলোড করে দেওয়া থাকে। কিন্তু এই FPPAS চার্জ কোনোভাবেই মেনে নিতে চাইছে না গ্রাহকরা।

আরও পড়ুনঃ লক্ষ্মীর ভান্ডারের থেকেও বেশি, প্রতি মাসে ২০০০ টাকা দেবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার

প্রসঙ্গত, এই FPPAS চার্জের বিরোধিতা করছে ABECA। এই সংগঠনের সেক্রেটারি সুব্রত বিশ্বাস জানান, ‘ এই FPPAS-এর দর কতটা বাড়বে, তা পুরোটাই নির্ভর করে কেন্দ্রীয় সরকারের ওপর। যা পুরোপুরিই স্বৈরাচারী মনোভাব। এই দর ওঠানামার নির্দিষ্ট কোনও নিয়ম নেই। কিন্তু সেটা চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে সাধারণ মানুষের ওপর। তাতেই আম জনতার বিদ্যুতের বিল বাড়ছে লাফিয়ে।’

বাছাই করা গুরুত্বপুর্ন খবর পেতে গ্রুপে যুক্ত হোন