ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: বর্তমানে ব্যস্ত শহরগুলিতে অনেকসময় দেখা যায় নিত্যযাত্রীরা যেকোনও জায়গায় যাওয়ার ক্ষেত্রে বেশিরভাগ সময় ক্যাব পরিষেবাকে বেছে নেয়। অফিসে যাওয়ার ক্ষেত্রেও হোক কিংবা কোনও ইভেন্টে যাওয়ার ক্ষেত্রেও হোক অ্যাপ ক্যাব পরিষেবা বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। তাইতো বঙ্গে ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের তরফ থেকে চালু হয়েছে অ্যাপ ক্যাব পরিষেবা ’যাত্রী সাথী’। তবে এবার সেই পরিষেবা শুধু কলকাতায় নয়। সেই তালিকায় এবার যুক্ত হবে শিলিগুড়ি।
সূত্রের খবর আগামী মাস থেকে এই পরিষেবা চালু হতে চলেছে শিলিগুড়িতে। মানুষকে কম খরচে ক্যাপ পরিষেবা দিতে গত বছর অক্টোবর মাসে এই অ্যাপের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রসঙ্গে অ্যাপের অপারেশন প্রধান রাজদীপ দত্ত জানিয়েছেন, ‘আমরা জুলাই মাসে শিলিগুড়িতে অ্যাপটি চালু করতে প্রস্তুত। যার মাধ্যমে মানুষজন শিলিগুড়ি ও আশেপাশের এলাকায় যাতায়াতের জন্য ক্যাব বুক করতে পারবেন সহজেই। এছাড়া বাইরে যাওয়ার জন্যও রিজার্ভ করতে পারবেন ক্যাব।’
রাজ্য সরকারের এক নয়া উদ্যোগ!
জানা গিয়েছে, শিলিগুড়িতে মূলত দু’ধরণের অ্যাপ ক্যাবের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। যথাক্রমে সেগুলি হল স্পেশ্যাল জোন ও ওপেন মার্কেট। প্রাথমিকভাবে, নিউ জলপাইগুড়ি রেলওয়ে স্টেশন, শিলিগুড়ি জংশন এলাকা এবং বাগডোগরা বিমানবন্দরের মতো গুরুত্বপূর্ণ ট্রানজিট পয়েন্টগুলিকে স্পেশ্যাল জোন হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সূত্রের খবর, এই এলাকাগুলি থেকে শহরের মধ্যে বা আশেপাশে এবং পাহাড়ের যে কোনও গন্তব্যের জন্য ক্যাব বুক করা যেতে পারে৷ এছাড়া অন্যান্য জায়গা থেকে স্থানীয় ভ্রমণের জন্য অ্যাপের মাধ্যমে ক্যাব বুক করা যাবে। তবে এইমুহুর্তে চালকদের জন্য শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশের দ্বারা রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া চলছে। আর সেই কারণে এইমুহুর্তে অ্যাপের আওতায় আসা ক্যাবগুলির সঠিক সংখ্যা ঠিক কত তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
কতটা লাভজনক সাধারণ মানুষের কাছে?
ভাড়ার কথা বলতে গেলে অবশ্যই কলকাতার সঙ্গে শিলিগুড়ির ভাড়ার পার্থক্য হতেই পারে। তবে নির্দিষ্ট কত ভাড়া থাকবে তা এখনও আলোচনা করা হয়নি। চালকরাও যাতে যাত্রীদের সঙ্গে সঠিক ব্যবহার করেন তার ব্যবস্থাও তারা করছে। তবে পাহাড়ে যাওয়ার জন্য চালকদের একেক জনের একেক রকম ভাড়া চাওয়ার প্রবণতা থাকবে না।
আরও পড়ুনঃ ফের DA বৃদ্ধি, আচমকাই ৩ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা বাড়ল এই কর্মীদের জন্য! বড় ঘোষণা রাজ্য সরকারের
এই প্রসঙ্গে শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন ট্রাফিক পুলিশের ডেপুটি কমিশনার বিশ্বচাঁদ ঠাকুর সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা চালকদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছি যাতে যাত্রীরা কোনও অসুবিধার সম্মুখীন না হন।’ এছাড়াও জানা গিয়েছে পুলিশের কাছে প্রতিটি ক্যাব এবং অ্যাপের সঙ্গে রেজিস্ট্রার করা সমস্ত ড্রাইভার এর পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য থাকবে।