সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: ভারতের উচ্চ শিক্ষার মান (Indian Education) নির্ধারণে এবার বিরাট পরিবর্তন আসতে চলেছে। হ্যাঁ, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউশনাল র্যাঙ্কিং ফ্রেমওয়ার্ক গত 10 বছর ধরেই কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মান যাচাই করে আসছে। এতদিন ধরে আইআইটি বা বড় বড় নামিদামি প্রতিষ্ঠান এই তালিকায় শীর্ষস্থান দখল করে রেখেছে। তবে এবার সেই ছবি পাল্টাতে চলেছে। এবার শুধু নাম বা ব্র্যান্ড ভ্যালু নয়, বরং প্রকৃত তথ্য ও বিশ্লেষণের উপর ভিত্তি করেই নির্ধারণ করা হবে র্যাঙ্কিং।
এবার থেকে ডেটা নির্ভর র্যাঙ্কিং
কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন যে, এবার থেকে ডেটা ড্রিভেন অ্যাপ্রোচ নেওয়া হবে। অর্থাৎ, প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের তথ্য এবার খুঁটিয়ে বিশ্লেষণ করেই র্যাঙ্কিং নির্ধারণ করা হবে। ফলত শুধুমাত্র পাঠদান নয়, বরং প্রতিষ্ঠানগুলো ঠিক কতটা স্টার্টআপ উদ্যোক্তা তৈরিতে বা ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারছে, সেগুলোই বড় ভূমিকা রাখবে। তিনি আরও বলেছেন, শুধুমাত্র IIT নামের ব্র্যান্ড যথেষ্ট নয়, তাদের বিশ্বমানের ব্যান্ড ভ্যালু অর্জন করতে হবে। শিল্পক্ষেত্রের সঙ্গে মিলে ভারতকে উন্নত দেশে বাস্তবায়িত করাই আমাদের মূল কর্তব্য।
আসছে One Nation One Data Portal
তবে এই পরিবর্তনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে এক বিরাট ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। হ্যাঁ, এবার One Nation One Data Portal পোর্টাল আনা হবে বলে জানা গিয়েছে। আর এই পোর্টালের মাধ্যমে দেশের প্রায় 50 হাজার উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ডেটা সংগ্রহ এবং বিশ্লেষণ করা হবে। এর মধ্যে অন্তত এক তৃতীয়াংশ প্রতিষ্ঠানকেই নতুন র্যাঙ্কিং ফ্রেমওয়ার্কে যুক্ত করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, শুধুমাত্র NIRF নয়, বরং NAAC-এর অ্যাক্রেডিটেশন ব্যবস্থাতেও এবার পরিবর্তন আসবে। দেশের স্টার্টআপ ও উদ্যোগপতিদের তৈরির প্রক্রিয়াকেই মূলত গুরুত্ব দিতে হবে। কারণ ভারত এখন দীর্ঘ দূরত্বে লাফ দেওয়ার প্রস্তুতিতে রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ভারতে Apple-র বিনিয়োগে ক্ষুব্ধ ট্রাম্প? নৈশভোজে টিম কুককে ডেকে চলল জিজ্ঞাসাবাদ
হবে নতুন সংস্কৃতির সূচনা
জানা গিয়েছে আগামী 1-2 বছরের মধ্যেই এই নতুন র্যাঙ্কিং পদ্ধতি কার্যকর করা হতে পারে। ফলে এবার শুধুমাত্র পরিমাণ নয়, বরং বিশ্লেষণ করা হবে গুণগত তথ্য। আর এর উপরভভিত্তি করে যারা সত্যি গবেষণা উদ্ভাবন বা শিল্পের সঙ্গে সংযোগ বাড়াতে চায়, তারা যে এগিয়ে যাবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।