সহেলি মিত্র, কলকাতাঃ পেট খারাপ হলে বা শরীর ডিহাইড্রেট হলে একটা জিনিস কমন ছিল, আর সেটা হল ORS খাওয়া। আপনিও কি দীর্ঘদিন ধরে কিছু হলেই ওআরএস খান? তাহলে এখুনই সাবধান হয়ে যান। কখনও ভেবে দেখেছেন, বাজার চলতি যে ORS আপনি খাচ্ছেন সেটা আদৌ ভালো তো? আসলে ভোক্তাদের বিভ্রান্তকারী কোম্পানিগুলির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে ভারতের খাদ্য নিরাপত্তা ও মান কর্তৃপক্ষ (FSSAI)।
ORS নিয়ে সতর্কতা জারি
আসলে FSSAI একটি নির্দেশ জারি করেছে যে কোনও খাদ্য বা পানীয় কোম্পানি তাদের ব্র্যান্ড নামে ORS (ওরাল রিহাইড্রেশন সল্টস) শব্দটি ব্যবহার করতে পারবে না যদি না এটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক নির্ধারিত মূল ORS সূত্রের উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়। আগে, কোম্পানিগুলিকে তাদের পণ্যের নামের সাথে ‘ORS’ শব্দটির উপসর্গ বা প্রত্যয় হিসাবে ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল, তবে তারা একটি সতর্কতা অন্তর্ভুক্ত করেছিল যে এটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক সুপারিশকৃত ORS সূত্র নয় । তবে, FSSAI এখন এই অনুমতি সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাহার করেছে। এর অর্থ হল কোনও সতর্কতা প্রদানের পরেও ORS শব্দটি ব্যবহার করা যাবে না।
কী বলছে কেন্দ্র?
FSSAI স্পষ্ট করে জানিয়েছে যে অনেক কোম্পানি তাদের ফল-ভিত্তিক পানীয়, এনার্জি ড্রিংকস, অথবা রেডি-টু-ড্রিঙ্ক পণ্যগুলিকে “ORS” হিসাবে বাজারজাত করছে, যদিও WHO সূত্র অনুসারে এতে প্রয়োজনীয় পরিমাণে গ্লুকোজ, সোডিয়াম এবং পটাসিয়াম থাকে না। এই জাতীয় পণ্যগুলি কেবল বিভ্রান্তিকরই নয় বরং অসুস্থ বা ডিহাইড্রেশনে ভুগছেন এমন ব্যক্তিদের জন্যও ক্ষতিকারক হিসেবে প্রমাণিত হতে পারে।
We Have Won! No one can use ‘ORS’ on their label unless it’s a WHO-recommended formula.
This is the story of Dr. Sivaranjani Santosh, a braveheart paediatrician from Hyderabad, who fought for 8 years against sugar-rich drinks falsely marketed as ORS.
Her persistence led to… pic.twitter.com/sZZoNkAW6B
— The Better India (@thebetterindia) October 16, 2025
নিয়ম লঙ্ঘনকারী কোম্পানিগুলিকে খাদ্য সুরক্ষা মান আইন, ২০০৬ এর ৫২ এবং ৫৩ ধারার অধীনে মামলা করা হবে। FSSAI সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের খাদ্য সুরক্ষা কমিশনারদের নির্দেশ দিয়েছে যে তারা অবিলম্বে সমস্ত পণ্য থেকে ‘ORS’ শব্দটি সরিয়ে ফেলুন এবং লেবেলিং এবং বিজ্ঞাপন সংক্রান্ত নিয়মগুলি কঠোরভাবে প্রয়োগ করুন। FSSAI ২০০৬ সালের খাদ্য নিরাপত্তা আইনের ৫২ এবং ৫৩ ধারা লঙ্ঘনের জন্য ব্যবস্থা নেওয়ার সতর্ক করেছে। ৫২ ধারায় ভুল ব্র্যান্ডেড বা ভুল লেবেলযুক্ত খাদ্য পণ্য বিক্রি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পণ্যের নাম, লেবেল, গুণমান বা অন্য কোনও তথ্য সম্পর্কে অসম্পূর্ণ বা বিভ্রান্তিকর তথ্য ভোক্তাদের বিরুদ্ধে প্রতারণা হিসাবে বিবেচিত হবে এবং ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা যেতে পারে। ৫৩ ধারা এমন বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য যেখানে কোনও খাদ্য পণ্যের প্রকৃতি, গুণমান ইত্যাদি সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রদান করা হয়। এতে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা রয়েছে।