প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: SIR বিতর্কের ঝড় বয়ে চলেছে রাজ্য জুড়ে। সাধারণের আতঙ্ক এতটাই বেড়েছে যে আত্মহত্যার ঘটনাও উঠে এসেছে। কয়েকদিন আগে বীরভূমের ইলামবাজারে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধনকে কেন্দ্র করে আত্মহত্যা করেছিলেন এক বৃদ্ধ। সেই ঘটনার পর থেকে যেন সংক্রমণের মতো ‘এসআইআর-আতঙ্ক’ ছড়িয়ে গিয়েছে আগরপাড়া, বারাকপুর এবং পূর্ব বর্ধমানে। এমতাবস্থায় হুগলির ডানকুনিতে (Dankuni) SIR আতঙ্কে আত্মঘাতী হলেন এক মহিলা।
SIR আতঙ্কে সুইসাইড
স্থানীয় রিপোর্ট অনুযায়ী, এসআইআর ঘোষণার পর থেকেই রাজ্যের একাধিক জেলায় ‘আতঙ্ক’ ছড়িয়েছে। যার জেরে হুগলির অন্তর্গত ডানকুনির ২০ নম্বর ওয়ার্ডের ৩৫ বছরের এক গৃহবধূ হাসিনা বেগম আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন। জানা গিয়েছে আজ অর্থাৎ সোমবার সকালে বাড়ির লোক তাঁকে অচেতন অবস্থায় দেখতে পান। তড়িঘড়ি করে হাসিনা বেগমকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত কয়েক দিন ধরে এসআইআর নিয়ে এলাকায় চলা গুজবের কারণে প্রবল মানসিক চাপে ভুগছিলেন তিনি। শেষে সেই চাপ নিতে না পেরেই বড় সিদ্ধান্ত নেন তিনি। এদিকে এই ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়।
Aren’t you grinning ear to ear today, @narendramodi? Isn’t this exactly what you wanted? To spill the blood of innocent Bengalis, pumping terror into their veins just for having the guts to vote against BJP in previous elections?@AmitShah spilled the beans himself: SIR is the… pic.twitter.com/tXeld0pxfe
— All India Trinamool Congress (@AITCofficial) November 3, 2025
তৃণমূল বিজেপি দ্বন্দ্ব
প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে SIR আতঙ্কে রাজ্যে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচে। আর সেই আবহে রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে। রাজ্যে এত মানুষের মৃত্যুর জন্য শাসকদল গেরুয়া শিবিরকে দায়ী করেছে। তৃণমূলের দাবি, ‘এক কোটি লোক ওপারে যাবে’ অন্যদিকে পাল্টা দোষ চাপিয়েছে বিজেপি। তাঁদের অভিযোগ, ‘‘রাজ্যে আতঙ্ক ছড়ানোর পরিবেশ তৈরি করেছে তৃণমূল সরকারের অস্পষ্ট অবস্থান।’’ তবে গোটা ঘটনার আসল সত্যিটা নিয়ে তদন্ত করছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: এবার নয়া দায়িত্ব! পুনরায় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরছেন শান্তা দত্ত
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার বীরভূমের ইলামবাজারেই স্কুলবাগান সুভাষপল্লি এলাকায় আত্মহত্যা করেন ৯৫ বছরের বৃদ্ধ ক্ষিতীশ মজুমদার। পশ্চিম মেদিনীপুরের বাসিন্দা ক্ষিতীশ ইলামবাজারে মেয়ের বাড়িতে এসেছিলেন। পরিবারের দাবি, SIR নিয়ে আতঙ্কে ছিলেন ক্ষিতীশ। ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় তাঁর নাম ছিল না। শেষ বয়সে তাঁকে দেশান্তরী হতে হবে কি না, এ সব ভেবে ভেবে তিনি মানসিক ভাবে অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন। শেষমেশ মেয়ের বাড়িতেই আত্মহত্যা করেছিলেন তিনি।