SIR বিরোধিতায় তোলপাড় রাজধানী! আন্দোলনের মাঝেই জ্ঞান হারালেন মহুয়া

Opposition Protest At Delhi

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। তার আগেই ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন বা SIR নিয়ে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। আর এবার জাতীয় নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ঝড় উঠল দিল্লিতে। ভোট চুরির অভিযোগে দিল্লির রাজপথে নেমেছে বিরোধীরা। বিক্ষোভ, স্লোগান এবং পুলিশের সঙ্গে তুমুল ধস্তাধস্তিতে এবার অসুস্থ হয়ে পড়লেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। অন্যদিকে দিল্লি পুলিশের হাতে গ্রেফতার হলেন রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী- মল্লিকার্জুন খাড়গে-সহ ১০০-এর বেশি সাংসদ।

ধুন্ধুমার পরিস্থিতি দিল্লিতে

ANI এর রিপোর্ট অনুযায়ী পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী আজ অর্থাৎ সোমবার সকালে নির্বাচন কমিশনের দপ্তরে SIR বা ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন নিয়ে বিক্ষোভ দেখানোর কথা ছিল বিরোধীদের। আর সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী সকাল সাড়ে ১১টার সময় মিছিল শুরু হতেই সংসদ ভবনের সামনে পথ আটকে ব্যারিকেড দিয়ে পথ আটকে দেয় দিল্লি পুলিশ। এরপরই রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, অখিলেশ যাদব, ডিম্পল যাদব, মহুয়া মৈত্র, ডেরেক ও’ব্রায়েন-সহ বিরোধী সাংসদরা শুরু করে হইচই এবং বিক্ষোভ। ব্যারিকেডের উপরে রীতিমত প্রতিবাদী রূপে উঠে পড়লেন মহুয়া মৈত্রকে। এমনকি ব্যারিকেড টপকান অখিলেশ যাদবও। ধুন্ধুমার পরিস্থিতি গোটা চত্বর জুড়ে।

প্রতিবাদী আন্দোলনে অসুস্থ মহুয়া মৈত্র

দিল্লি পুলিশ বিক্ষোভকারী সাংসদদের বাঁধা দেওয়ায়, রাস্তায় বসে পড়েন প্রিয়ঙ্কা গান্ধী ও অন্যান্য সাংসদরা। রয়েছেন রাহুল গান্ধী থেকে শুরু করে কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন ক্রিকেটার মহম্মদ আজহারউদ্দিন। শেষে পুলিশ বিরোধী সাংসদদের জোর করে বাসে তুলে দেয়। এদিকে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জ্ঞান হারান কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র সহ আরামবাগের সাংসদ মিতালি বাগ। এই বিক্ষোভ মিছিল থেকেই তৃণমূল সাংসদ সুস্মিতা দেব বলেন, ‘আজ বিরোধী জোটের প্রত্যেক সাংসদ নির্বাচন কমিশনের সামনে প্রতিবাদ করতে নেমেছেন। কারণ, যাঁরা দেশের নাগরিক, তাঁদের ভোটাধিকার কেড়ে নিচ্ছে কমিশন। সেক্ষেত্রে ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচন কীভাবে সম্ভব হল?”

আরও পড়ুন: গরু পাচারের অভিযোগে বেঁধে মারধর! অবশেষে গ্রেফতার দুর্গাপুরের বিজেপি নেতা পারিজাত

ইতিমধ্যেই বিরোধী দলের থেকে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, অখিলেশ যাদব, ডেরেক-সহ একাধিক বিরোধী সাংসদকে বাসে করে পার্লামেন্ট স্ট্রিট থানায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে দিল্লি পুলিশের তরফে। এখনও অস্থির পরিস্থিতি বজায় রয়েছে। এই ঘটনায় কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী বলেন, “ওরা কথা বলতেই চায় না, কারণ ওরা মুখ লুকোতে চাইছে। সত্যিটা গোটা দেশের সামনে চলে এসেছে। এই লড়াই রাজনৈতিক নয়, সংবিধান বাঁচানোর লড়াই। ফলে আমরা চাই সঠিক ভোটার লিস্ট।” চুপ থাকেনি শাসক দল। বিজেপির তরফে পাল্টা দাবি করা হয়েছে গোটা ঘটনায় সম্পূর্ণ নাটক।

Leave a Comment