সহেলি মিত্র, কলকাতা: SSC নিয়োগ নিয়ে ফের একবার বিতর্কের সৃষ্টি হল (SSC Recruitment Controversy)। জানা গিয়েছে, শনিবার সন্ধ্যায় স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC) সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলগুলিতে উচ্চমাধ্যমিক স্তরে সহকারী শিক্ষক পদের জন্য ইন্টারভিউয়ের জন্য ডাকা হবে এমন ২০,০০০ জনেরও বেশি প্রার্থীর একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। ইন্টারভিউয়ের আগে প্রয়োজন জরুরি নথি যাচাই করতে হবে, এটা তারই তালিকা। তবে এই তালিকা ঘিরেই তৈরী হয়েছে নতুন সমস্যা। এই তালিকায় নাকি নাম নেই অনেকের।
নথি যাচাইয়ের তালিকায় নাম নেই অনেকের
সবথেকে বড় কথা, এসএসসি আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত অনেকেরই নাম নেই নাকি এই তালিকায়। এই তালিকায় নাম নেই এই যোগ্য-অযোগ্য আন্দোলনের প্রথম সারির মুখদের। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, ৭ বছর ধরে চাকরি করার পর আজ যে তাঁরা ডাক পেলেন না, তাহলে তাঁদের ভবিষ্যৎ কী? তাঁরা কি এই তালিকার নিরিখে অযোগ্য হয়ে গেলেন? ভরসা কি তাহলে নবম দশমে? উঠছে নানা প্রশ্ন।
সূত্রের খবর, নথি যাচাইয়ের জন্য ডাক পেয়েছেন ২০১৬ প্যানেলের অনেকে, নতুন তালিকা অনুসারে ডাক পেয়েছেন, তেমনই অনেকে পাননি। সবথেকে আশ্চর্যের বিষয় হল ডাক আসেনি আন্দোলনের সক্রিয় মুখ চিন্ময় মন্ডল, সুমন বিশ্বাস, মেহেবুব মন্ডলের মতো অনেকেরই। এই বিষয়ে চাকরিপ্রার্থী সুমন বিশ্বাস বলেছেন, ‘অনেক যোগ্য শিক্ষকরা ডাক পাননি, তাহলে কি তাঁরা অযোগ্য? ২০১৬ প্যানেল বাতিল মামলার পরিপ্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু রাজ্য সরকার ওপেন সিলেকশন করেছে, নিজের পাপ মুছে ফেলার জন্য।’ অপরদিকে চাকরিহারা মেহেবুব মন্ডল জানান, ‘আমাদের মূল দাবি, এত বছর চাকরি করে নিরপরাধ হয়েও প্রাতিষ্ঠানিক নিয়োগ অসংগতিতে আমরা বঞ্চিত হয়েছি। আমাদের কিন্তু কোনও দোষ নেই। কেউ যেন কর্মহীন না হয়ে পড়েন, কারও পরিবার যেন ক্ষতির মুখে না পড়েন।’ এই বিষয়ে এখনো অবধি কিছু খোলসা করেনি এসএসসি।
কী বলছে SSC?
প্রার্থীদের লিখিত পরীক্ষায় (৬০ নম্বর), একাডেমিক স্কোর (স্নাতকোত্তর পরীক্ষার ফলাফলের উপর ভিত্তি করে ১০ নম্বর) এবং শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা (১৪ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী চাকরিরত শিক্ষকদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ১০ নম্বর) ভিত্তিতে তালিকাটি প্রস্তুত করা হয়েছে। মোট পদের সংখ্যা ১২,৪৫৪। এই বিষয়ে এসএসসির চেয়ারপারসন সিদ্ধার্থ মজুমদার বলেছেন, সাক্ষাৎকারের সময়সূচী যথাসময়ে ঘোষণা করা হবে। সংক্ষিপ্ত তালিকাভুক্ত প্রার্থীদের নথি যাচাইকরণ ১৮ নভেম্বর থেকে শুরু হবে।
এসএসসির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এই তালিকায় প্রতিটি প্রার্থীর রাজ্য স্তরের নির্বাচন পরীক্ষায় (SLST) ৬০ নম্বরের মধ্যে প্রাপ্ত নম্বর, ১০ নম্বরের মধ্যে শিক্ষাগত নম্বর এবং ১০ নম্বরের মধ্যে শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এসএসসির একজন কর্মকর্তা বলেন, নির্বাচন প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার জন্যই জনসাধারণের কাছে স্কোর প্রকাশের লক্ষ্য।