অন্যান্যদের উপর আর ভরসা নয়, ভারতেই যুদ্ধবিমানের চোখ, মাথা তৈরি করবে DRDO

Sukhoi Su-30MKI head and Radar will be made in India

বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: প্রতিরক্ষায় পরনির্ভরশীল নয় ভারত। সে একাই একশো। বিগত দিনগুলিতে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি বিভিন্ন যুদ্ধবিমান সহ অন্যান্য সমরাস্ত্র হাতে পেয়েছে ভারতের তিন বাহিনী। তাতে বিশ্বের দরবারে আলাদা স্থান হয়েছে নয়া দিল্লির। মূলত সেই জায়গা আরও পোক্ত করতে এবার বড় প্ল্যান ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এবং HAL এর। জানা যাচ্ছে, রাশিয়ার উপর নির্ভরতা কমিয়ে এবার নাকি দেশের বায়ুসেনার প্রধান অস্ত্র যুদ্ধবিমান Su-30MKI (Sukhoi Su-30MKI) এর প্রায় 78 থেকে 80 শতাংশ কাজ হবে দেশেই।

বিমানের চোখ এবং মাথা তৈরি হবে ভারতেই

একাধিক রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক নাকি এবার বিভিন্ন যুদ্ধবিমান বিশেষ করে Su-30MKI এর মাথা এবং চোখ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি করতে চাইছে। জানা গিয়েছে, বিমানের চোখ বা রেডার হবে সম্পূর্ণ দেশি উত্তম AESA রেডার। যা দূর থেকে শত্রুকে চিহ্নিত করতে পারবে। সেই সাথে বিমানের মাথা বা মিশন কম্পিউটারও তৈরি হবে ভারতেই। এর ফলে আগামী দিনে যুদ্ধের সময় সফটওয়্যার হ্যাক হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।

জানিয়ে রাখি, বিগত দিনগুলিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আত্মনির্ভর ভারতের লক্ষ্যকে এগিয়ে রাখতে 1 লাখেরও বেশি প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম এবং সমরাস্ত্র দেশেই তৈরি হচ্ছে। জানলে অবাক হবেন, বেশিরভাগ প্রতিরক্ষা যন্ত্রাংশ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি করা দেশগুলির তালিকায় আমেরিকা এবং চিনের পরেই জায়গা হয়েছে ভারতের।

বাড়বে কর্মসংস্থান

সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে আগামী দিনে সুখোই যুদ্ধবিমানের মস্তিষ্ক এবং চোখ তৈরি করা গেলে এই বিমান হয়ে উঠবে আরও শক্তিশালী এবং রনংদেহি। সবচেয়ে বড় কথা, ভারতীয় বিজ্ঞানীদের হাত ধরে এই যুদ্ধবিমান নতুন রুপ পেলে তা দিয়ে অনায়াসে 160 কিলোমিটার পল্লার শক্তিশালী মিসাইল এমনকি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া যাবে। রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশের 260টি বা তারও বেশি, সুখোই যুদ্ধ বিমানের আপগ্রেডেশনের জন্য হাজার হাজার কোটি টাকা ঢালবে সরকার। সবচেয়ে বড় কথা, সেই অর্থ বিদেশে নয় বরং থাকবে দেশের বিভিন্ন সংস্থার হাতেই।

অবশ্যই পড়ুন: গত ১৫ দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ দরপতন সোনার! ঘাম ছোটাচ্ছে রুপো

বলা ভাল, দেশীয় প্রযুক্তিতে সুখোই 30 এর মাথা এবং চোখ তৈরির মধ্যে দিয়ে টাটা অ্যাডভান্স সিস্টেম বা বিআইএল অর্থাৎ ভারতের ইলেকট্রনিক্স এর মতো ভারতীয় সংস্থা গুলির পকেট ভরবে। এখানেই শেষ নয়, দেশের সংস্থাগুলি কাজ পেলে ভারতের বহু যোগ্য যুবক যুবতীর কর্মসংস্থান হবে বলেই আশা করা যাচ্ছে।

Leave a Comment