অ্যাকাউন্ট থেকে বিনিয়োগ, সবেতেই আবশ্যক! ঘরে বসেই বানান বাচ্চাদের PAN Card

সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: বর্তমান ডিজিটাল যুগে দাঁড়িয়ে যেমন আধার কার্ড গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট, ঠিক তেমনই তার পাশাপাশি প্যান কার্ডও (Pan Card) পরিচয়পত্র হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ। আবার অনেকেই ভাবে যে, এটি শুধুমাত্র প্রাপ্তবয়স্কদের জন্যই। তবে বাস্তব বলছে অন্য কথা। হ্যাঁ, শিশুর নামেও প্যান কার্ড থাকা জরুরী। বিশেষ করে যদি তার নামে কোনোরকম বিনিয়োগ বা ফিক্সড ডিপোজিট কিংবা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলার পরিকল্পনা থাকে।

তবে সবথেকে বড় ব্যাপার, এখন এই গুরুত্বপূর্ণ কাজ বাড়িতে বসেই করা যাচ্ছে সম্পূর্ণ অনলাইনের মাধ্যমেই। তাই কাগজপত্র নিয়ে আর সরকারি অফিসে ঘোরাঘুরি করার কোনো দরকার নেই। কিন্তু বানাবেন কীভাবে, আর কী কী ডকুমেন্ট লাগবে? চলুন বিস্তারিত জানিয়ে দিচ্ছি আজকের প্রতিবেদনে।

শিশুদের প্যান কার্ড কেন আলাদা?

যেহেতু শিশুদের বয়স 18 বছরের কম হয়, তাই তাদের প্যান কার্ড মাইনর ক্যাটাগরিতেই পড়ে। আর এটি দেখতে প্রাপ্তবয়স্কদের মতো হলেও কিছু পার্থক্য থাকে। প্রথমত, মাইনর প্যান কার্ডে ফটো এবং সই থাকে না এবং অভিভাবকের নাম ও তাদের প্যান নম্বর যুক্ত থাকে। পাশাপাশি এই কার্ড থাকলে কোনোরকম কর দিতে হয় না। কিন্তু বিনিয়োগ, মিউচুয়াল ফান্ড, ফিক্সড ডিপোজিট বা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য এটি জরুরী।

কী কী ডকুমেন্ট লাগে?

শিশুদের জন্য প্যান কার্ড বানাতে হলে কিছু ডকুমেন্টও প্রয়োজন হয়। প্রথমত শিশুর জন্ম সার্টিফিকেট বা আধার কার্ড দিতে হয়। দ্বিতীয়ত, অভিভাবকের আধার কার্ড, বিদ্যুতের বিল বা জলের বিল ঠিকানার প্রমাণপত্র হিসেবে জমা দিতে হয়। সবথেকে বড় ব্যাপার, অভিভাবকের প্যান কার্ড প্রয়োজন পড়ে বাচ্চাদের প্যান কার্ড বানানোর জন্য।

কীভাবে অনলাইনে আবেদন করবেন?

শিশুদের প্যান কার্ড বানানোর জন্য এখন সম্পূর্ণ অনলাইনে আবেদন করা যাচ্ছে। এর জন্য নিন্মলিখিত ধাপগুলি অনুসরণ করুন—

  • প্রথমে NSDL (https://www.tin-nsdl.com) অথবা UTIITSL (https://www.utiitsl.com)-এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যান।
  • এরপর Apply for New PAN (Form 49A) অপশনে ক্লিক করুন।
  • এরপর ‘Individual’ ক্যাটাগরি নির্বাচন করুন।
  • এরপর শিশুর সমস্ত ব্যক্তিগত তথ্য যেমন নাম, জন্মতারিখ, লিঙ্গ, ইত্যাদি ইনপুট করুন।
  • এরপর অভিভাবকের নাম এবং প্যান নাম্বার লিখুন।
  • এরপর প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট যেমন শিশুর জন্ম সার্টিফিকেট, আধার কার্ড, অভিভাবকের ঠিকানার প্রমাণপত্র ইত্যাদি আপলোড করুন।
  • এরপর আবেদন ফি বাবদ 107 টাকা পেমেন্ট করুন।
  • এরপর সফলভাবে আবেদন জমা দিন এবং একটি অ্যাকনলেজমেন্ট নম্বর পাবেন, সেটি সেভ করে রাখুন।
  • 15 থেকে 20 দিনের মধ্যেই প্যান কার্ড আপনার ঠিকানায় পৌঁছে যাবে।

আরও পড়ুনঃ ভিসা ছাড়াই কাটান বিদেশে ছুটি, ভারতীয়দের জন্য সেরা সুযোগ নিয়ে এল ৫ দেশ

কিন্তু হ্যাঁ, শিশুর বয়স যদি 18 বছর পেরিয়ে যায়, তখন তার প্যান কার্ডে কিছু আপডেট করতে হবে। প্রথমত ফটো এবং স্বাক্ষর যুক্ত করতে হবে। দ্বিতীয়ত, মাইনর কার্ড থেকে মেজর প্যান কার্ড বানাতে হবে। এর পাশাপাশি নতুন করে ফর্ম পূরণ করে ডকুমেন্ট আপলোড করতে হবে। তাই যদি এখনও প্যান কার্ড না বানিয়ে থাকেন, তাহলে আজই এইভাবে বানিয়ে ফেলুন বাচ্চাদের প্যান কার্ড।

Leave a Comment