সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: জন্ম বা জন্ম তারিখের প্রমাণপত্র হিসেবে এবার আর আধার কার্ডকে (Aadhaar Card) বৈধ হিসেবে গণ্য করা হবে না। হ্যাঁ, স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হল উত্তরপ্রদেশ সরকারের তরফ থেকে জারি করা একটি নতুন বিজ্ঞপ্তিতে। সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশ সরকারের পরিকল্পনা বিভাগ এই অফিসিয়াল বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। এমনকি রাজ্যের সমস্ত বিভাগকেই এই নির্দেশনা জারি করা হয়েছে এবং বলা হয়েছে, আধার কার্ডের সঙ্গে কোনও জন্ম সার্টিফিকেট সংযুক্ত থাকে না। তাই এটিকে জন্ম সার্টিফিকেট হিসেবে বিবেচনা করা যায় না।
বলাবাহুল্য, চলতি সপ্তাহের বৃহস্পতিবার মহারাষ্ট্র আধার ভিত্তিক জন্ম এবং মৃত্যু শংসাপত্র বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিল। সেখানে মহারাষ্ট্রের রাজ্য প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, শুধুমাত্র আধার কার্ডের প্রমাণ বা সন্দেহজনক বলে বিবেচিত কোনও সার্টিফিকেটের ভিত্তিতে জারি করা জাল জন্ম কিংবা মৃত্যুর সার্টিফিকেট বাতিল করতে হবে এবং এরকম কোনও তথ্য সামনে আসলে পুলিশকে অভিযোগ জানাতে হবে।
কী বলা হল বিজ্ঞপ্তিতে?
জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে ১ আগস্ট ২০২৩ সালের সংশোধনের পর তহসিলদারের দ্বারা বিতরণ করা জন্ম বা মৃত্যু সার্টিফিকেট সংক্রান্ত আদেশ বাতিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর শুধুমাত্র আধার কার্ডের প্রমাণের ভিত্তিতে জন্ম ও মৃত্যুর সার্টিফিকেট প্রদানের ব্যবস্থাকেও ত্রুটিপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হবে। এমনকি রাজস্ব বিভাগ কেন্দ্র সরকারের নির্দেশিকা উল্লেখ করে স্পষ্ট বলেছে যে, জন্ম বা জন্মস্থানের প্রমাণ হিসেবে আধার কার্ডকে গ্রহণ করা হবে না। উল্লেখ্য, জেলা কালেক্টর এবং বিভাগীয় কমিশনারদের তত্ত্বাবধানে এই সমস্যাগুলি সমাধানের জন্য বিশেষ প্রচারণা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
In Uttar Pradesh, Aadhaar cards will no longer be accepted as a birth certificate or proof of date of birth. The Planning Department has issued instructions to all departments. No birth certificate is attached to the Aadhaar card; therefore, it cannot be considered a birth… pic.twitter.com/uzinTdj8Yc
— ANI (@ANI) November 28, 2025
বলাবাহুল্য, চলতি সপ্তাহের শুরুতে ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন অথরিটি অফ ইন্ডিয়া গোটা দেশ থেকে প্রায় মৃত ব্যক্তিদের ২ কোটিরও বেশি আধার নম্বর নিষ্ক্রিয় করে দিয়েছে। আর এটি জাতীয় পরিচয় ডাটাবেসের বৃহত্তম সাফাই হিসাবেই বিবেচনা করা হচ্ছে। এমনকি ইলেকট্রনিক্স ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রকের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, এই পদক্ষেপের মূল লক্ষ্য হল আধার কার্ডের রেকর্ড সঠিক রাখা এবং পরিচয়ের অপব্যবহার রোধ করা। এদিকে ভোটার তালিকা অন্তর্ভুক্ত করার সময় পরিচয়ের প্রমাণ হিসেবে আধার কার্ড ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়নি। সেক্ষেত্রে কমিশন অনুমোদিত অন্যান্য ১১টি ডকুমেন্টকে গ্রহণযোগ্য হিসেবে গণনা করা হয়েছে। আর সেই সূত্রে এবার যোগীরাজ্যে বড়সড় পদক্ষেপ নেওয়া হল।