প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: সামাজিক মাধ্যমে নিষেধাজ্ঞাকে কেন্দ্র করে শুরু হওয়া এই আন্দোলন এখন নেপালে বিধ্বংসী রূপ নিয়েছে। সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছেন ‘জেন জি’রা। ইতিমধ্যেই ভারত-নেপাল বাস পরিষেবা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করা হয়েছে। শিলিগুড়ি থেকে কাঠমান্ডু পর্যন্ত NBSTC-র নিয়মিত বাস চলাচলও হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় যাত্রীরা বিপাকে পড়েছেন। আর এই আবহে নেটওয়ার্কের সমস্যার কারণে মাঝরাতে উত্তরকন্যা এসে উঠলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
মাঝরাতে উত্তরকন্যা যাওয়ার সিদ্ধান্ত
দ্য ওয়ালের রিপোর্ট অনুযায়ী, পূর্ব নির্ধারিত পরিকল্পনা অনুযায়ী গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার, উত্তরবঙ্গ সফরের উদ্দেশে পাড়ি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সূত্রে গতকাল রাতে কন্যাশ্রীতে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু সেখানে নেটওয়ার্কের সমস্যা দেখা দেয়। অথচ কাছেই নেপাল। সেখানে প্রতি মুহূর্তে কী ঘটছে তাই নিয়ে কোনো আপডেট না মেলায় অস্থির পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। প্রথম সারির কোনও টেলিকম সংস্থারই নেটওয়ার্ক পাওয়া যাচ্ছে না। তাই তড়িঘড়ি রাজ্যের ক্রীড়া ও যুব কল্যাণ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস মাঝরাতে উত্তরকন্যা যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন।
নেপাল প্রসঙ্গে মমতা
গতকাল, মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন উত্তরবঙ্গের উদ্দেশে রওনা দিচ্ছিলেন তখন বিমানবন্দরে সাংবাদিদের প্রশ্নের মুখে পড়েনি তিনি। সেই সময় নেপালের পরিস্থিতি প্রসঙ্গ উঠে আসতেই তিনি বলেন, “নেপাল আমার দেশ নয়। এটা বিদেশি রাষ্ট্র। তাই নেপাল নিয়ে কোনও মন্তব্য করব না। এটা ভারত সরকারের বিষয়। নেপাল, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশকে ভালোবাসি। চাই সবাই শান্তিতে থাকুক। প্রতিবেশী ভাল থাকলেই আমরা ভাল থাকব।” অর্থাৎ তাঁর বক্তব্যের মাধ্যমে মমতা বুঝিয়ে দিলেন যে, কেন্দ্রীয় সরকারের নীতির সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখতে চাইছেন তিনি।
আরও পড়ুন: জলপাইগুড়িতে প্রশাসনের নাকের ডগায় ড্রাগ বিক্রির অভিযোগ, গ্রেফতার পুলিশেরই ছেলে
উল্লেখ্য, নেপালের উত্তেজনার আঁচ যাতে রাজ্যের কোনও অংশে না পৌঁছায়, তার জন্য ইতিমধ্যেই সতর্কতা জারি করেছে প্রশাসন। এদিন মমতা সকল রাজ্যবাসীর উদ্দেশ্যে সতর্কতা স্বরূপ জানিয়েছেন যে, “নেপাল সীমান্ত নিয়ে কেন্দ্র এখনও আমাদের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ করেনি। তবে আমরা আমাদের পক্ষ থেকে শিলিগুড়ি, কালিম্পং সহ প্রত্যেকটি এলাকায় শান্তি বজায় রাখার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছি।”