এবার এয়ারপোর্টের লাউঞ্জ এরিয়ায় প্রবেশের অনুমতি পাবেন সকলেই, জারি নয়া নিয়ম

প্রীতি পোদ্দার, নয়া দিল্লি: অনেকেই আছেন যারা বিমানে চড়তে পছন্দ করেন। কিন্তু সকলের কাছে বিমান যাত্রার সুযোগ মেলেনা। যদিও বা সুযোগ মিললেও সেক্ষেত্রে আবার কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়। যার মধ্যে অন্যতম হল লাউঞ্জ এরিয়ার ব্যবহার। অনেকেই এই এরিয়া ব্যবহার করতে পারে না। তবে এবার সেই সুবিধার জন্য সুখের চাবিকাঠি নিয়ে এলেন গৌতম আদানি।

কী এই লাউঞ্জ এরিয়া?

আসলে প্রতিটি বড় বিমানবন্দরেই একটি করে লাউঞ্জ এরিয়া থাকে। এখানে যাত্রীরা বিমান আসার অপেক্ষায় সাধারণত বসে থাকেন। এরিয়াটি এতটাই বড় যে যাত্রীরা এখানে অপেক্ষা করার পাশাপাশি নানা রকম উন্নত সুযোগ-সুবিধা পেতে পারেন। এমনকি এখানে যাত্রীরা আরামদায়ক আসন, বিনামূল্যে খাবার ও পানীয়, ওয়াই-ফাই এবং চার্জিং স্টেশন ইত্যাদি সুবিধা পান। কিন্তু সেই সুবিধা সবাই পায় না

কাদের জন্য এই সুবিধা?

জানা গিয়েছে একমাত্র বিশেষ কয়েকজন যাত্রীরাই এই সুবিধা উপভোগ করতে পারেন। প্রথম বা বিজনেস ক্লাসের যাত্রী, বিমান সংস্থার সদস্য, অথবা কিছু বিশেষ ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ডধারী ব্যক্তিরাই বিমানবন্দরের লাউঞ্জ এরিয়ায় প্রবেশ করতে পারেন। তবে এবার থেকে সেই লাউঞ্জ এরিয়ায় সকলেই প্রবেশ করতে পারবে।

আর সেই সুবিধা নিয়ে আসছে গৌতম আদানি গোষ্ঠী। সম্প্রতি আদানি বিমানবন্দরের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অরুণ বনসাল লিঙ্কডইন নামক অ্যাপে এই বিষয়ে একটি পোস্ট করেছিলেন।

লাউঞ্জ এরিয়া নিয়ে বড় আপডেট!

তিনি সেই পোস্টে দাবি করেছেন যে, “অন্যান্য অপারেটরদের সাথে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে, আমরা যাত্রীদের জন্য এক বড় উদ্যোগ নিতে চলেছি। এখন থেকে বিমান যাত্রীরা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সরাসরি লাউঞ্জ এলাকায় প্রবেশ করতে দেওয়া হবে। অর্থাৎ এখন যাত্রীদের লাউঞ্জ সুবিধার জন্য তৃতীয় পক্ষের সাহায্যের কোনো প্রয়োজন নেই।”

সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, UPI এর মাধ্যমে লাউঞ্জ এরিয়ায় প্রবেশের ক্ষেত্রে কোনো তৃতীয় ব্যক্তির প্রয়োজন হবে না। গ্রাহকরা নির্দ্ধিধায় সেই সুবিধা উপভোগ করতে পারবে।

আরও পড়ুন: দুই সন্তানকে নিয়ে দ্বিতীয়বার বিয়ের পিঁড়িতে বাস্তবের ‘মিসেস চ্যাটার্জি’, পাত্র …

প্রসঙ্গত, মুম্বইয়ের পাশে আদানি গ্রুপের এই নতুন বিমানবন্দরটি ২২ মাইল এলাকা নিয়ে তৈরি করা হয়েছে। ফলে এখানে প্রচুর বিমান যেমন থাকতে পারবে ঠিক তেমনই এখান থেকে কম খরচে যেকোনও জায়গায় অতি সহজেই চলে যাওয়া যাবে। অন্যদিকে বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি বছরের শেষের দিকেই আদানি গ্রুপের এই নতুন বিমানবন্দরটি থেকে উড়ান যাত্রা শুরু হবে।

সেক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে অনুমান করা যাচ্ছে যে এই বিমানবন্দরের যাত্রীদের বার্ষিক ধারণক্ষমতা প্রথম এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে দুই কোটি হতে পারে। এবং তৃতীয় ও চতুর্থ পর্যায়ে ধারণক্ষমতা ৫ কোটি এবং ৭ কোটি ধরা হচ্ছে। তবে শেষ এবং পঞ্চম পর্যায়ে ৯ কোটি যাত্রী ধারণ করতে পারবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে শুধু যাত্রী পরিষেবা নয়, বাণিজ্যকে আরও বাড়িয়ে তুলতে চলেছে এই বিমানবন্দর।

Leave a Comment