বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: সংসদের আসন্ন বাদল অধিবেশনে বিরোধী পক্ষের বিরোধিতার আশঙ্কায় ঘুম উড়েছে কেন্দ্রের শাসক শিবিরের! মূলত সেই কারণেই এবার, অধিবেশনের আগেই সরকারি কর্মীদের প্রভিডেন্ট ফান্ড অ্যাকাউন্টে সুদের টাকা জমা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিল শ্রম মন্ত্রক।
শীঘ্রই অ্যাকাউন্টে জমা পড়বে সুদের অর্থ
কর্মচারী ভবিষ্যনিধি সংগঠন বা EPFO সূত্রে খবর, আগামী সপ্তাহের মধ্যেই ভারতের অন্তত সাড়ে 7 কোটি EPF অ্যাকাউন্ট হোল্ডার এবং প্রায় 70 লক্ষ অবসরপ্রাপ্ত কর্মীর ব্যাঙ্কে ঢুকবে সুদের টাকা। আর এই খবরের পরই, কিছুটা হলেও স্বস্তি পেয়েছেন রাজ্য তথা দেশের বহু সরকারি কর্মী ও পেনশনভোগী।
শ্রম মন্ত্রকের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন
বাদল অধিবেশনের আগে EPF গ্রাহকদের সুদের টাকা জমা করার বিষয়ে লক্ষ্যমাত্রা স্থির করে দিয়েছে শ্রম মন্ত্রক। আর এরপর থেকেই শ্রম মন্ত্রকের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে সরব হয়েছে একাধিক শ্রমিক সংগঠন। প্রশ্ন উঠছে, গত দু মাস ধরে গ্রাহকদের ব্যাঙ্কে সুদের টাকা জমা করার প্রক্রিয়া চলছে।
কিন্তু তা সত্ত্বেও কেন গোটা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা গেল না? কেন সমস্ত গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে সুদের টাকা পৌঁছে দিতে এত সময় লাগছে? যদিও শ্রমিক সংগঠনগুলির এমন একাধিক প্রশ্নের পরিপ্রেক্ষিতে মুখ খোলেনি কর্মচারী ভবিষ্যনিধি সংগঠন। তবে সূত্রের খবর, শ্রম মন্ত্রক নাকি বলছে, গোটা বিষয়টি যে যেহেতু প্রযুক্তি নির্ভর তাই স্বাভাবিকভাবেই সময় লাগবে। তবে খুব শীঘ্রই সমস্ত গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে পৌঁছে যাবে সুদের টাকা।
অবশ্যই পড়ুন: চিন থেকে iPhone 17-র পার্টস ভারতে পাঠাল Foxconn, জুলাইতেই শুরু উৎপাদন
উল্লেখ্য, গত মার্চ মাসে কর্মচারী ভবিষ্যনিধি সংগঠনের 2024-25 আর্থিক বছরের এক বৈঠকে গ্রাহকদের সুদের পরিমাণ 8.25 শতাংশ হারে অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তবে সেই সিদ্ধান্তে সিলমোহর দিতে সময় লাগিয়ে দেয় অর্থমন্ত্রক।
শেষ পর্যন্ত তিন মাস কাটিয়ে EPF গ্রাহকদের সুদের হার অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্তে সবুজ সংকেত দেয় মন্ত্রক। বর্তমানে সেই নির্দেশ মেনেই গ্রাহকদের ব্যাঙ্কে সুদের অর্থ পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে বলেই খবর। যদিও সেসবের মাঝেই শ্রমিক সংগঠনগুলির ক্ষোভ অব্যাহত!