সহেলি মিত্র, কলকাতাঃ ১৯৯৯ সালের কার্গিল যুদ্ধে দেশের হয়ে বলিদান দিয়েছিলেন নকশালবাড়ির (Naxalbari) বীর বাহাদুর সুরেশ ছেত্রী। দেশের স্বার্থে নিজের প্রাণ দিতে দু’বার ভাবেননি তিনি। মৃত্যুকালে বয়স ছিল মাত্র ২৫ বছর। তাঁর এই আত্মত্যাগ মানুষ কোনওদিন ভুলবেন না। তবে অনেকেই হয়তো জানেন না যে নাগা রেজিমেন্টের এই সাহসী সৈনিকের ছেলে মায়ের গর্ভে থাকাকালীনই সুরেশের মৃত্যু হয়। যাইহোক, বাবার ভালোবাসা কাকে বলে, বাবার সঙ্গে স্মৃতি কাকে বলে সেটা সেই ছেলে জানতেও পারেনি। তবে সেই বীর শহিদের ছেলে এখন বড় হয়ে ডাক্তার হয়েছে এবং স্বাধীনতা দিবসের বিশেষ অনুষ্ঠানে তার বাবার একটি মূর্তি উন্মোচন করতে ফিরে এসেছে।
কার্গিল যুদ্ধে শহীদের ছেলের বিরাট উদ্যোগ
অনুষ্ঠান চলাকালীন, বীর বাহাদুর সুরেশ ছেত্রীর স্ত্রী এবং ছেলে সুমন ছেত্রী তাকে স্মরণ করে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন, তবে তারা গর্বিতও। বীর বাহাদুর সুরেশ ছেত্রীর একটি বিশাল মূর্তি স্থাপনের তাদের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন অবশেষে বাস্তবায়িত হয়েছে। ভারতীয় সেনার তরফে নকশালবাড়িতে সুরেশ ছেত্রীর মূর্তি বসেছে। আয়োজন করা হয়েছিল বিশেষ অনুষ্ঠানের, যেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন মেজর জেনারেল জয়প্রকাশ সিং। ১৫ আগস্ট জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শুরু হয়।
এদিনের অনুষ্ঠানে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সেনাবাহিনীর লোকজন সুমন ছেত্রীকে সম্মান জানান। এই সুমন ছেত্রী বর্তমানে এমবিবিএস করে নিজের গ্রামের মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে একদম বিনামূল্যে চিকিৎসা প্রদান করছেন।
আরও পড়ুনঃ সাগরে ফের ফুঁসছে নিম্নচাপ, কলকাতা সহ ৯ জেলায় বৃষ্টিপাত, আজকের আবহাওয়া
জানা গিয়েছে, নকশালবাড়ির সাতভাইয়া মোড়ে বীর শহীদের মূর্তিটি স্থাপন করা হয়েছে। মেজর জেনারেল জয়প্রকাশ সিং এবং শিলিগুড়ি মহাকুমা পরিষদের সভাপতি অরুণ ঘোষ সহ অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। তারা শহীদের মূর্তিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান। বিশেষ অনুষ্ঠান চলাকালীন, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিদের মধ্যে হুইলচেয়ার এবং ট্রাইসাইকেলও বিতরণ করা হয়।