সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: ঘনিয়ে আসছে 2026-এর বিধানসভা নির্বাচন। আর ঠিক সেই উদ্দেশ্যেই জনসংযোগ বাড়াতে তৎপর হয়েছে রাজ্য সরকার। এবার সেই লক্ষ্যে আরও এক ধাপ এগোলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। হ্যাঁ, জনপ্রিয় দুয়ারে সরকার প্রকল্পের সূত্র ধরে এবার চালু হতে চলেছে নতুন উদ্যোগ “আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান।” কিন্তু এখান থেকে কী কী সমাধান মিলবে? কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী?
কী বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী?
এদিন নবান্নের সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, আগে যেরকম দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে মানুষ বিপুলভাবে সাড়া দিয়েছিল, এবার আমরা ঠিক একই ধাপে এগোচ্ছি। ছোট ছোট সমস্যার সমাধান হবে এবার পাড়ায় পাড়ায়। এই প্রকল্পের নাম “আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান।”
তিনি আরও জানিয়েছেন, উপর থেকে নয়, বরং এবার নিচু স্তর থেকে সাধারণ মানুষের মুখে মুখে সমস্যা শোনা হবে। আর সেই অনুযায়ী সমাধানের চেষ্টা করবে রাজ্য সরকার। যে কাজগুলো ছোট, অথচ প্রয়োজনীয়, যেমন পানীয় জল, নিকাশি ব্যবস্থা, স্ট্রিট লাইট, রাস্তাঘাট, সেগুলি দ্রুত সমাধান করা হবে। এটিই এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য।
#AmaderParaAmaderSamadhan adds yet another feather to Smt. @MamataOfficial’s people-centric governance model. Under this pioneering initiative:
✅ Coverage of 80,000 booths
✅ ₹10 lakh to be allocated to each booth
✅ ₹8,000+ crore to be earmarked
✅ Camps to be organised to… pic.twitter.com/DCkN8mWxS6— All India Trinamool Congress (@AITCofficial) July 22, 2025
কীভাবে কাজ করবে এই প্রকল্প?
যেমনটা জানা গিয়েছে, এবার প্রতিটি পাড়া গঠিত হবে তিনটি করে বুথ নিয়ে। আর নির্দিষ্ট স্থানে সমাধান কেন্দ্র বসবে। সেখানে সাধারণ মানুষের সমস্যার কথা শোনা হবে। তবে শুধুমাত্র অফলাইনে নয়, বরং অনলাইনেও অভিযোগ জানানোর ব্যবস্থা থাকবে। পাশাপাশি সমস্যা শুনে সেই অনুযায়ী পঞ্চায়েত, পৌরসভা ও জেলা পরিষদ ব্যবস্থা নেবে। সবথেকে বড় ব্যাপার, আগামী ২ আগস্ট থেকেই রাজ্য সরকার এই প্রকল্প চালু করতে চলেছে।
তবে নতুন এই প্রকল্পের জন্য রাজ্য সরকার 8 হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, আমরা শুধুমাত্র কাগজে-কলমে বা ঘোষণায় আটকে থাকতে চাইছি না, বরং এবার এই পরিষেবা সাধারণ মানুষের দরজায় দরজায় পৌঁছে দেব। এটাই আমাদের মূল লক্ষ্য।
অতীতে হয়েছিল দুয়ারে সরকার ক্যাম্প
প্রসঙ্গত, এর আগে দুয়ারে সরকার প্রকল্প চালু করেছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। আর সেখানেও প্রায় ১০ কোটি মানুষ অংশগ্রহণ করেছিল। এর মধ্যে 90 শতাংশ সমাধান হয়েছে বলেই দাবি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এই ক্যাম্প থেকে লক্ষ্মীর ভান্ডার, কন্যাশ্রী, রেশন, জাতিগত শংসাপত্র, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড, সমস্ত ক্ষেত্রেই বহু মানুষ উপকৃত হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ অ্যাকাউন্টে টাকা না থাকলেও মৃত্যুর পর মিলবে পাবে ৫০ হাজার! নিয়ম EPFO-র
তবে রাজ্যের বহু পাড়ার ভেতরে অনেক ছোট গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা থেকে গিয়েছে, যেগুলি সমাধান হচ্ছে না। যেমন ড্রেন অপরিষ্কার, জলের অভাব, স্ট্রিট লাইট খারাপ, রাস্তা ভাঙা ইত্যাদি। আর এই ধরণের প্রতিনিয়ত সমস্যাগুলি প্রশাসনের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্যই এই উদ্যোগ। এবার সরকার লোকাল লেভেলে কাজ শুরু করবে, যাতে সাধারণ মানুষের সমস্যা খুব তাড়াতাড়ি সমাধান হয়।