গরিবদের জন্য সস্তায় AC কোচ সব ট্রেনে! বড় প্রস্তাব বন্দে ভারত ট্রেনের নির্মাতার

সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: ডিজিটাল ইন্ডিয়ার দিকে এগোচ্ছে ভারত। কেন্দ্রীয় সরকারের “বিকশিত ভারত 2047” প্রকল্পের মূল লক্ষ্য একটাই—আধুনিক, আত্মনির্ভর এবং সর্বজনীন দেশ গড়ে তোলা। আর এই স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার জন্য রেল ব্যবস্থাও (Indian Railways) বিরাট ভূমিকা নিচ্ছে। হ্যাঁ, এসি ট্রেন, বুলেট ট্রেন, আধুনিকীকরণ, সবমিলিয়ে একেবারে রেলের চেহারা যেন বদলে যাচ্ছে। 

ঠিক এহেন মুহূর্তে এক সংবেদনশীল প্রশ্ন তুলেছেন রেলের প্রাক্তন উচ্চপদস্থ আধিকারিক সুধাংশু মণি। তিনি বলেছেন, বিকশিত ভারত প্রকল্পে নন এসি কোচ চালানো সত্যিই লজ্জার ব্যাপার। গরিবদের সম্মানের সঙ্গে এসি ট্রেনের সফর করার সুযোগ করে দিতে হবে।

গরিবরাও চড়ুক এসি কোচে

মণিবাবু এদিন মনে করিয়ে দেন সেই সময়ের কথা, যখন রেলে শুধুমাত্র এসি ট্রেন চালু করার চিন্তা ভাবনা চলছিল। তিনি বলেছেন, আমার সেই ভাবনাটা ভালো লেগেছিল। কারণ এতে গরিবরাও এসি কোচে সফর করতে পারবে, যদি ভাড়া না বাড়ে। অনেকটা যেন গরিব রথ এক্সপ্রেসের মতো হয়ে যাবে। 

তিনি মনে করেছেন, দেশের গরিব মানুষদের হাতে এখনো পর্যন্ত টাকা পয়সা কম। তাই তাদের স্বস্তি দিতে এবং সম্মানের সঙ্গে ভ্রমণের সুযোগ করে দিতে হলে প্রত্যেকটি ট্রেনকেই এসিতে রূপান্তর করতে হবে এবং ভাড়াও কম রাখতে হবে। আর যখন দেশ উন্নত হবে, তখন মানুষের হাতে টাকা আসবে। তখন ধাপে ধাপে ভাড়া বাড়ানো যেতে পারে।

নন এসি কোচ নিয়ে বিকশিত ভারত মানেই লজ্জা

মণি আরও বলেছেন, যদি 2047 সালের পরেও নন এসি কোচ চলে, তাহলে সেটা হবে ভারতীয়দের জন্য সবথেকে বড় লজ্জা। একটা পরিষ্কার সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত সরকারের, যাতে গরিবদের সস্তায় এসি ট্রেনে যাত্রা করার সুযোগ করে দেওয়া যায়।

তার মতে, রেল এখন মোটা অংকের টাকা আয় করছে। আর সেই আয়ের কিছু অংশ লোকসানে ফেলেও যদি গরিবদের জন্য এসি ট্রেন চালানো যায়, তাহলে সেটা মানবিক দিক থেকেও হবে ইতিবাচক পদক্ষেপ। অন্যদিকে বন্দে ভারতের মতো প্রিমিয়াম টেন থেকে আরো বেশি পরিমাণে আয় করা সম্ভব হবে।

আরও পড়ুনঃ দুয়ারে নিম্নচাপ, দক্ষিণবঙ্গের ৪ জেলায় তেড়ে আসছে বৃষ্টি, আজকের আবহাওয়া

দ্রুত গতিতে চলুক বন্দে ভারত

শুধু গরিবদের এসি ট্রেনে সফর করার ব্যাপারে নয়, বরং উন্নয়নের পথে রেলের একটি দিশা দেখিয়েছেন তিনি। হ্যাঁ, ট্রেনের গতি বাড়ানোর কথা বলেছেন মনি বাবু। বন্দে ভারত ট্রেনের গড় গতি যদি 70 থেকে 90 কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা থেকে বাড়িয়ে 100 থেকে 110 কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা করা হয়, তাহলে মানুষ আরো বেশি ভাড়া দিতে প্রস্তুত বলে মনে করছেন তিনি।

তার মতে, মানুষ এখন সময়ের মূল্য বোঝে। গন্তব্যস্থলে দ্রুত পৌঁছনোর সুযোগ পেলে অনেকেই বেশি টাকা খরচ করেও পাড়ি জমাবে। কেউ আপত্তি করবে না। আর এই বিশ্বাস থেকেই তিনি রেলের আধুনিকীকরণকে আরো গতিশীল করার পরামর্শ দিয়েছেন।

Leave a Comment