বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: কথাতেই আছে ঘরে অশান্তি থাকলে পাড়াপড়শি তার সুযোগ নেবেই! সাম্প্রতিক সময়ে এমন অবস্থাই হয়েছে পাকিস্তানের (Pakistan)! বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পাকিস্তানের এক সাংসদ ও শেহবাজ সরকারের এক মন্ত্রী দুজনেই নাকি পাকিস্তান ভাগ করার দাবি জানিয়েছেন!
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিলওয়াল ভুট্টো জারদারির দল পিপিপির এক সাংসদ এবং ক্ষমতাসীন সরকারের মন্ত্রী দু পক্ষই দুটি পৃথক প্রদেশের দাবি তোলেন। যে খবর প্রকাশ্যে আসতেই, অনেকেই মনে করছেন এবার হয়তো দু ভাগে ভাগ হয়ে যাবে পশ্চিমের দেশ!
উঠলো পাকিস্তান ভাগ করার দাবি!
পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, সম্প্রতি পাকিস্তানের ক্ষমতাসীন সরকারের ধর্ম বিষয়ক ফেডারেল মন্ত্রী সর্দার মহম্মদ ইউসুফ দাবি করেছেন, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের গড় খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশটিকে দু ভাগে ভাগ করার। তাঁর প্রধান বক্তব্য, ওই প্রদেশ হাত করে হাজারা নামক একটি পৃথক প্রদেশ করা হোক।
পাকিস্তান সরকারের মন্ত্রীর পাশাপাশি পশ্চিমের দেশের পিপিপি রাজনৈতিক দলের সাংসদ সৈয়দ মুর্তজা মাহমুদ আবার পাঞ্জাব প্রদেশকে দু ভাগে ভাগ করার দাবি তুলেছেন। পাকিস্তানের ওই সাংসদের বক্তব্য, দক্ষিণ পাঞ্জাব প্রদেশকে একটি পৃথক প্রবেশ করা হোক। আর এরপরই সন্ত্রাসের আশ্রয়দাতা হিসেবে পরিচিত গোটা দেশটি দু ভাগে ভাগ হয়ে যাওয়ার প্রসঙ্গ তুলছেন অনেকেই।
হঠাৎ কেন এমন দাবি তুলল দুপক্ষ?
বেশ কিছু সূত্র মারফত খবর, পাকিস্তান সরকারের মন্ত্রী ইউসুফ মনে করেন, প্রদেশগুলিকে ছোট ছোট করে ভাগ করার ফলে ওই অঞ্চলগুলিতে অবকাঠামোগত উন্নয়ন সহজেই ত্বরান্বিত হবে। শুধু তাই নয়, ওই অঞ্চলগুলির বাসিন্দাদের নিজেদের প্রয়োজনীয় কাজ মেটাতে আর দূরের সরকারি অফিসের যেতে হবে না।
অবশ্যই পড়ুন: ইরানের পরমাণু কেন্দ্রে হামলা আমেরিকার, তবুও বুক চিতিয়ে বড় বয়ান খামেনির দেশের
এছাড়াও ইউসুফের আরও দাবি, খাইবারের সরকার ওই অঞ্চলের হাজার হাজার জনগণের সাথে দ্বিমুখী নীতিতে জড়িয়ে। প্রদেশটির বাসিন্দারা বিশুদ্ধ পানীয় জলের জন্য এক প্রকার রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছে! কিন্তু তা সত্বেও সরকার তাতে মনোযোগী নয়। তাই ওই প্রদেশটিকে দুটি ভাগে ভাগ করলে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অঞ্চলের ভিত্তিতে উন্নয়ন ও জলের প্রয়োজন মেটানো যাবে।
অন্যদিকে বিরোধী দলের সাংসদ মাহমুদের দাবি, পাকিস্তানের 60 শতাংশ এলাকা পাঞ্জাবেই। কাজেই যদি ওই প্রদেশটিকে ভাগ না করা হয় সেক্ষেত্রে অঞ্চলটির মানুষ আগামী দিনে সোচ্চার হয়ে উঠতে পারে। এর পাশাপাশি পাকিস্তানের ওই সাংসদ নাকি শেহবাজ সরকারের পাঞ্জাব বিরোধী স্লোগানের কথাও স্মরণ করিয়েছিলেন সংসদে। বলা বাহুল্য, হাজারা ও দক্ষিণ পাঞ্জাব প্রদেশকে পৃথক প্রদেশ হিসেবে স্বীকৃতির দাবির নেপথ্যে একাধিক রাজনৈতিক কারণ জড়িয়ে রয়েছে বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।