চলে এল সুদিন! দু’দুটি সুখবর শোনাল RBI, টাকা বাঁচবে আপনার

RBI Report

সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: দেশবাসীর জন্য বিরাট সুখবর। এবার মুদ্রাস্ফীতি থেকে অনেকটাই মুক্তি পাওয়া যাবে বলেই জানাল ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (RBI Report)। দেশবাসী এতদিন ধরে যে খবরের জন্য অপেক্ষা করছিল, অবশেষে তা শোনাল আরবিআই। বাণিজ্যিক অস্থিরতার মধ্য দিয়েও আরবিআই তাদের অর্থনৈতিক অবস্থা সংক্রান্ত দুটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, যা থেকে বোঝা যাচ্ছে যে এবার আমজনতার পকেটে অনেকটাই চাপ কমবে। কারণ, ভারতের অর্থনীতি এখন অনেকটাই শক্তিশালী।

রিজার্ভ ব্যাঙ্কের রিপোর্ট অনুযায়ী, অভ্যন্তরীণ শক্তির কারণে বিশ্বব্যাপী অনিশ্চয়তা সত্ত্বেও প্রবৃদ্ধির গতিতে কোনওরকম ভাটা পড়বে না। এমনকি বহিরাগত বাণিজ্য উত্তেজনার সাথে সাথে দেশ সামনের দিকে এগিয়ে চলছে।

পাওয়া যাবে মুদ্রাস্ফীতি থেকে মুক্তি

প্রসঙ্গত, সেপ্টেম্বর মাসে খুচরা মুদ্রাস্ফীতি বা সিপিআই ২০১৭ সালের জুন মাসের পর সর্বনিম্ন স্তরে নেমে আসে। মূলত জিএসটির হ্রাসের কারণে জিনিসপত্রের দাম অনেকটাই কমেছিল। তবে সাম্প্রতিক সময়ে সোনা ও আবাসনের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় মুদ্রাস্ফীতি সামান্য বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু হ্যাঁ, সামগ্রিক মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে।

এমতাবস্থায়, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক আবারও প্রবৃদ্ধির উপর মনোযোগ দিচ্ছে। প্রতিবেদনে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে যে, নীতিগত অবস্থান তৈরি করা হচ্ছে আর সুদের হার অনেকটাই কমানো হতে পারে। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের মনিটরি পলিসি কমিটি যদি সুদের হার কমায়, তাহলে গৃহঋণ থেকে শুরু করে গাড়ি ঋণ বা ব্যক্তিগত ঋণের ইএমআই অনেকটাই কমবে। ফলে সাধারণ মানুষের ব্যয়ের থেকে আয় বাড়বে। আর দোকান ও কারখানাগুলি আবারও সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হবে। পাশাপাশি জিএসটি হ্রাস উৎসবের মরসুমেও আমজনতাকে সাহায্য করবে। কারণ, পণ্যের দাম অনেকটাই সস্তা হবে ও চাহিদা বৃদ্ধি পাবে।

অভ্যন্তরীণ চাহিদার শক্তি

রিজার্ভ ব্যাঙ্ক তাদের প্রতিবেদনে দ্বিতীয় যে সুসংবাদ দিয়েছে তা হল অভ্যন্তরীণ চাহিদা বৃদ্ধি নিয়ে। কারণ, উচ্চ ফ্রিকোয়েন্সি সূচকগুলিতে দেখা যাচ্ছে, শহরগুলির চাহিদা অনেকটাই ফিরে এসেছে। আর গ্রামীণ এলাকাতেও তা যথেষ্ট শক্তিশালী। তবে কৃষিক্ষেত্রে কিছুটা ব্যতিক্রমী ফলাফল দেখা যাচ্ছে। কারণ, সাম্প্রতিক সময়ে প্রচুর বৃষ্টিপাত ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে অনেকটাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কৃষি খাত।

আরও পড়ুনঃ বড়সড় জঙ্গি হামলার ছক বানচাল! দিল্লি স্পেশাল সেলের জালে দুই কুখ্যাত ISIS জিহাদি

এদিকে আইএমএফ ২০২৫ সালের জন্য জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬.৬ শতাংশ নির্ধারণ করেছিল যা আগের থেকে ২০ বেসিস পয়েন্ট বৃদ্ধি। অন্যদিকে ওইসিডি বলেছিল জিডিপি ৬.৭ শতাংশ দাঁড়াবে যা বর্তমানের থেকে ৪০ বেসিস পয়েন্ট বৃদ্ধি। তবে বিশ্ব ব্যাঙ্ক ৬.৫ শতাংশ এবং আরবিআই এর মনিটরি পলিসি কমিটি ২০২৫-২৬ সালের জন্য ৬.৮ শতাংশ জিডিপি’র পূর্বাভাস দিয়েছে যা ৩০ বেসিস পয়েন্ট বৃদ্ধি। ফলে ভারতের অর্থনীতি যে স্থিতিশীলভাবেই এগোচ্ছে, তা নতুন করে বলার অপেক্ষা না। এখনকি শহর থেকে গ্রাম, প্রতিটি জায়গাতেই অর্থনীতি ত্বরান্বিত হচ্ছে আর কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হচ্ছে।

Leave a Comment