প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: ভুয়ো পাসপোর্ট এবং ভুয়ো জরুরী নথি সহ রাজ্যে বেড়েই চলেছে বাংলাদেশী ভোটারের সংখ্যা। এদিকে সামনেই ২৬ এর নির্বাচন। তাই এবার সেই বাংলাদেশী ভোটারদের উৎখাত করতে ভোটার তালিকা নিয়ে উঠে পড়ে লেগেছে নির্বাচন কমিশন।
প্রতিদিন গড়ে তিন থেকে চারটি করে চিঠি পাঠাচ্ছে ফরেনাস রেজিস্ট্রেশন অফিস বাংলাদেশি ভোটারদের নাম সহ। আর সেই চিঠির তালিকায় উঠে এল একাধিক জেলার নামের তালিকাও, যেখানে সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশী ভোটাররা জমি আকঁড়ে পড়ে রয়েছে।
গুচ্ছ গুচ্ছ বাংলাদেশি ভোটার জেলাগুলোতে!
যত দ্রুত সম্ভব বাংলা থেকে ভুয়ো ভোটার এবং বাংলাদেশী ভোটার নিষ্কাশন করার জন্য তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরগুলি। এমতাবস্থায় গত মে মাস থেকে এখনও পর্যন্ত ফরেনারস রেজিস্ট্রেশন অফিস বা FRO থেকে বাংলাদেশি ভোটারদের নাম নিয়ে ২০০টিরও বেশি অভিযোগ এসেছে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, তদন্তের মাধ্যমে জানা গিয়েছে, বেশিরভাগই ভুয়ো ভোটারের পরিচয়পত্রে নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, মালদা, উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা সীমান্ত জেলা ও কলকাতার ঠিকানা রয়েছে।
ভোটার তালিকা নিয়ে সরব মুখ্যমন্ত্রী
এই নিয়ে যদিও সঙ্গে সঙ্গে সেই সকল বিশ্লেষিত তথ্য সংশ্লিষ্ট জেলার ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসারের কাছে পাঠানো হচ্ছে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক দফতরের তরফ থেকে। এদিকে সামনেই বিহারে বিধানসভা নির্বাচন৷ সেখানেও ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ৷ আর তা নিয়ে শীর্ষ আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন বিরোধীরা৷
কিন্তু এখনও পর্যন্ত এই প্রক্রিয়ায় কোনো স্থগিতাদেশ দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট৷ সম্প্রতি ভোটার তালিকা নিয়ে সরব হন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলায় একই ভোটার কার্ড নম্বরে একাধিক এপিক রয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: ২০৫০ সালের মধ্যে ভারতে রাজ করবে মুসলিমরা! বিস্ফোরক তথ্য ফাঁস আন্তর্জাতিক সমীক্ষায়
এছাড়াও মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানার ভোটে তালিকায় ব্যাপক গরমিল ছিল বলে ধারাবাহিকভাবে অভিযোগ করে আসছেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। সরব হন একাধিক নেতা। শেষে বিরোধীদের চাপেই কমিশনের ভোটার তালিকা সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল।
অন্যদিকে নতুন ভোটারদের তালিকাভুক্ত হওয়ার ক্ষেত্রেও বেশ কয়েকটি পরিবর্তন আনা হয়েছে। এখন থেকে জন্মের প্রমাণপত্র সঠিকভাবে পেশ করতে না পারলে ভোটার তালিকায় নাম তোলা যাবে না বলে স্পষ্ট জানিয়েছে কমিশন।