তিনবার NEET-এ ব্যর্থ! IIT মাদ্রাজের ছাত্র এখন ডেটা সায়েন্টিস্ট

sanjay b data scientist

সহেলি মিত্র, কলকাতাঃ মানুষের জীবনে ওঠাপড়া লেগেই থাকে। তা বলে পরিস্থিতির কাছে হার মেনে হাত গুটিয়ে বসে থাকা মোটেও বুদ্ধিমানের কাজ নয়। আজকের এই প্রতিবেদনে এমন একটি মানুষের অনুপ্রেরণামূলক গল্প নিয়ে আলোচনা করা হবে যার সম্পর্কে শুনলে হয়তো আপনি বিশ্বাসই করতে পারবেন না। আজ কথা হবে সঞ্জয়কে নিয়ে, যিনি NEET-এর মতো কঠিন পরীক্ষায় তিনবার ব্যর্থ হওয়ার পরেও হাল ছাড়েননি।

NEET পরীক্ষায় তিনবার ফেল করেও সাফল্যের মুখ দেখলেন সঞ্জয়!

৩ বার তো অনেক পরের বিষয়, অনেকেই আছেন যারা পরীক্ষায় একবার ফেল করার পর হাল ছেড়ে দেন। সেখানে সঞ্জয় একটি নতুন দিক বেছে নেন এবং একটি সফল কেরিয়ারের দিকে এগিয়ে যান। তিনবার NEET পরীক্ষায় ফেল করার পর স্বাভাবিকভাবেই সঞ্জয়ের মাথায় বাজ ভেঙে পড়ে। ভাবতে থাকেন সব রাস্তা বন্ধ। তার পরিবার এবং সমাজ ধরে নিয়েছিল যে তার কেরিয়ার শেষ। কিন্তু সঞ্জয় হাল ছাড়ার পাত্র নন। তিনি নিজেকে একটি প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেছিলেন, “আমি কি আর কিছু করতে পারি?” এই প্রশ্নটি তার জীবনে একটি নতুন মোড় নিয়ে আসে।

আইআইটি মাদ্রাজের ছাত্র সঞ্জয়

ডেটা সায়েন্স অ্যান্ড অ্যাপ্লিকেশনে ব্যাচেলর অফ সায়েন্স প্রোগ্রাম সম্পর্কে জানতে পারেন সঞ্জয়। এটি একটি অনলাইন এবং ওপেন প্রোগ্রাম, যার জন্য কোনও বয়স, ব্যাকগ্রাউন্ড বা পরীক্ষার নম্বরের প্রয়োজন হয় না (যেমন জেইই)। অর্থাৎ, কোনও শিক্ষার্থী NEET বা JEE তে ফেল করলেও, তিনি এই কোর্সে ভর্তি হতে পারবেন। সঞ্জয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান সম্পর্কে কোনও জ্ঞান ছিল না।

আরও পড়ুনঃ দেশের ভেতরেই থাকবে Starlink ব্যবহারকারীর সমস্ত ডেটা! কেন্দ্রের শর্ত মানল মাস্ক

কিন্তু আইআইটি মাদ্রাজের বিএস প্রোগ্রামে ভর্তির পর, তিনি ধীরে ধীরে পাইথন, জাভা, এসকিউএল, মেশিন লার্নিং, ডেটা স্ট্রাকচার এবং অ্যালগরিদম (ডিএসএ) এবং আরও অনেক প্রযুক্তিগত দক্ষতা শিখতে শুরু করেন। সঞ্জয় এই সমস্ত দক্ষতা অনলাইনে শিখেছিলেন, প্রোজেক্ট করেছিলেন এবং নিজেকে একজন ডেটা বিজ্ঞানী হিসেবে প্রস্তুত করতে শুরু করেছিলেন। আজ সেই সঞ্জয়, যিনি একবার নয়, তিনবার NEET-তে ফেল করেছিলেন, তিনি Syngenta নামে একটি নামী সংস্থায় সহযোগী ডেটা সায়েন্টিস্ট হিসেবে কর্মরত। তিনি এখন আইআইটি মাদ্রাজের বিএস প্রোগ্রামের প্রাক্তন ছাত্র এবং তার সাফল্যের গল্প দিয়ে হাজার হাজার তরুণকে অনুপ্রাণিত করছেন।

Leave a Comment