সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: দেশজুড়ে এবার বাড়তে চলেছে কনডমের দাম (Condom Price Hike)। এমনকি শুধুমাত্র কনডম নয়, বরং গর্ভনিরোধক ওষুধেও বসছে অতিরিক্ত ১৩ শতাংশ কর। সাধারণ মানুষকে এবার খোয়াতে হবে বাড়তি টাকা। কিন্তু হঠাৎ করে কেন দাম বাড়ানো হচ্ছে কনডম সহ গর্ভনিরোধক ওষুধের? নেপথ্যে কী কারণ রয়েছে? জানতে আগ্রহী হলে প্রতিবেদনটি পড়ুন।
কী কারণে কনডমের দামে ঊর্ধ্বগতি?
আসলে এর পিছনে উদ্দেশ্য একটাই। আর তা হল জন্মহার বাড়ানো। তবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে জিনপিংয়ের দেশ অর্থাৎ চিনের তরফ থেকে। কারণ, বর্তমানে জনসংখ্যার নিরিখে ভারতও চিনকে টেক্কা দিয়ে এগিয়ে গিয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, বর্তমানে চিনে জন্মহারের সংখ্যা দিনের পর দিন কমছে। আর যদি সেইভাবে চলতে থাকে, তাহলে ২০৫০ সালে চিনের জনসংখ্যা দাঁড়াবে মাত্র ১৩০ কোটি।
শুধু তাই নয়, দিনের পর দিন তরুণ প্রজন্মের হার কমছে চিনে। আর এর প্রভাব পড়ছে দেশের অর্থনীতির উপর। সেই কারণে তরুণ প্রজন্ম গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে তৎপর প্রশাসন। জানা গিয়েছে, প্রশাসন এবার শুধুমাত্র সন্তান নিতে অনুরোধ করছে না, বরং অবিবাহিতদেরও সন্তান নেওয়ার অনুমতি দিয়েছে। হ্যাঁ, প্রশাসনের কাছে রেজিস্টার করেই সন্তান দত্তক পাওয়া যাবে। কারণ, দেশে জনসংখ্যা দিনের পর দিন কমছে। এমনকি সন্তান নেওয়ার জন্য দম্পতিদের উৎসাহিত করার জন্য আর্থিক সাহায্যেরও পরিকল্পনা করেছে জিনপিং সরকার।
আরও পড়ুন: ৬৪% দখল ছিল দেশের বিমান পরিষেবায়! কীভাবে রাতারাতি এহেন সংকট ইন্ডিগোর?
জুলাই মাসে জানা গিয়েছিল, সন্তান ধারণের উৎসাহ প্রদান করার জন্য নগদ অর্থ দেওয়া হবে। সেই জন্যই এবার গর্ভনিরোধক ওষুধ এবং কনডমের উপর অতিরিক্ত ভ্যাট বসাতে চলেছে জিনপিং সরকার। তবে হ্যাঁ, ভ্যাট অপসারণ যখন করা হয়েছিল, তখন লাফিয়ে লাফিয়ে চিনে এইচআইভি সংক্রমণের সংখ্যা বাড়ছিল। ২০০২ সালের তুলনায় ২০২১ সালে এইচআইভি সংক্রমণের ঘটনা প্রতি ১ লক্ষে ০.৩৭ থেকে ৮.৪১ জনে বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই কারণেই এবার বড়সড় সিদ্ধান্তের পথে ড্রাগনের দেশ।