সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: দেশের গিগ কর্মী অর্থাৎ সুইগি, জোমাটো, জেপ্টো, ব্লিঙ্কইট, অ্যামাজন, ফ্লিপকার্ট সহ বিভিন্ন সংস্থার ডেলিভারি বয়রা ২৫ থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ধর্মঘটে ডাক (Gig Workers Strike) দিয়েছে। হ্যাঁ, কর্মীরা দাবি তুলেছেন, দীর্ঘদিনের দারিদ্রতা পূর্ণ পরিস্থিতি, নিরাপত্তাহীনতা এবং সামাজিক সুরক্ষার অভাবেই তাঁরা এই আন্দোলন করতে বাধ্য হয়েছেন। কী কী দাবি রাখলেন তাঁরা?
আসলে তেলেঙ্গানা গিগ ও প্ল্যাটফর্ম ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন এবং ইন্ডিয়ান ফেডারেশন অ্যাপ ভিত্তিক ট্রান্সপোর্ট ওয়ার্ক এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, উচ্চ চাহিদার সময় এবং উৎসবের মরসুমে কর্মীরা দীর্ঘ সময় কাজ করতে বাধ্য হয়। কিন্তু তাঁদের আয় কমে যায় আর ডেলিভারি করতে সমস্যা পোহাতে হয়। পাশাপাশি আইডি ব্লকের মতো সমস্যাও হয়। এমনকি বেসিক ওয়েলফেয়ারের সুবিধা থাকে না। কর্মীরা বলছেন, ডেলিভারি এবং গিগ কর্মীদের গণতান্ত্রিক বা ন্যায্য মজুরির নিরাপত্তা, সম্মান ও সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।
আরও পড়ুনঃ ক্ষমতায় এলে মহিলাদের মাসে ১৫,০০০ টাকা! মুর্শিদাবাদে তৃণমূল ছেড়ে মিমে যোগদানের হিড়িক
কী কী দাবি তুলে ধরলেন তাঁরা?
বলতে গেলে গিগ কর্মীরা ন্যায্য, স্বচ্ছ মজুরি কাঠামো চাইছেন এবং সঙ্গে ১০ মিনিট ডেলিভারি মডেল বাতিলেরও দাবি জানিয়েছেন। এছাড়া তাঁদের প্রধান দাবিগুলি হল—
- অবৈধ আইডি ব্লকিং বা জরিমানা বন্ধ করতে হবে।
- কর্মক্ষেত্র তাঁদেরকে সম্মান এবং মর্যাদা দিতে হবে।
- নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও উন্নত করতে হবে। যার মধ্যে সেফটি গিয়ার অন্তর্ভুক্ত।
- কাজের নিশ্চয়তা আর সমাধান বন্টন করতে হবে, যাতে অ্যালগরিদমে কোনওরকম সমস্যা না হয়।
- পর্যাপ্ত পরিমাণ বিশ্রামের সময় দিতে হবে।
- অ্যাপ এবং প্রযুক্তিগত সহায়তাকে আরও উন্নত করতে হবে। যেমন- পেমেন্ট ব্যর্থতার ক্ষেত্রে অভিযোগগুলিকে তাড়াতাড়ি নিষ্পত্তি করতে হবে।
- চাকরির নিরাপত্তা এবং সামাজিক সুরক্ষা দিতে হবে। যার মধ্যে স্বাস্থ্য বীমা, দুর্ঘটনা কভারেজ বা পেনশনের সুবিধা অন্তর্ভুক্ত।
আরও পড়ুন: আজ থেকে ভাড়া বাড়ল ট্রেনের, পুরনো টিকিটেও দিতে হবে বেশি টাকা? জানুন
এদিকে কর্মীরা কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের কাছে প্ল্যাটফর্মগুলি নিয়মিত তদারকি এবং নিয়ন্ত্রণ করার আহ্বান জানিয়েছেন। তারা দাবি করছেন, এই উদ্যোগ অবিলম্বে গ্রহণ করলে কর্মীদের কাজের পরিবেশ আর নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। এখন দেখার, তাঁদের এই ধর্মঘট কতটা প্রভাব ফেলে।