নোনা জলে অক্ষত থাকবে স্টিলের পরিকাঠামো, এড়ানো যাবে দুর্ঘটনা! বিরাট আবিষ্কার বাঙালির

Bengali Professor Invention he Discovers coating that will keep steel infrastructure intact

বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: সমুদ্র বা নোনা জলে অক্ষত থাকবে স্টিল দিয়ে তৈরি নানান পরিকাঠামো। ক্ষয় রোধ করতে বিশেষ কোটিং ব্যবহার করা যাবে বিভিন্ন কোস্টাল ব্রিজ, পাইপলাইন এমনকি, স্টিলের থালা বাসনেও.. এমনই এক চমকপ্রদ আবিষ্কার করে তাক লাগালেন বঙ্গ সন্তান আইআইটি গুয়াহাটির কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক চন্দন দাস (Bengali Professor Invention)। জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই চন্দনের হাতে তৈরি বিশেষ কোটিং পরীক্ষাগারে সফল প্রমাণিত হয়েছে।

অন্যান্য পরীক্ষা শেষ হলেই শুরু হবে বাণিজ্যিক ব্যবহার

আইআইটি গুয়াহাটির কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক চন্দন দাসের হাত ধরে যে বিশেষ কোটিং তৈরি হয়েছে তা পরীক্ষাগারে প্রাথমিক সফলতার পর এবার আরও কিছু আনুষাঙ্গিক পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যাবে। সেইসব পরীক্ষার সফল হলেই শুরু হবে এর বাণিজ্যিক ব্যবহার। বিশেষজ্ঞ মহলের দাবি, চন্দনের হাত ধরে তৈরি বিশেষ কোটিং ব্যবহার করে যেমন ক্ষয় রোধ করা যাবে তেমনই কমবে দুর্ঘটনার আশঙ্কাও।

শুধু কি তাই? ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, এই বিশেষ আবিষ্কারের ফলে পরিকাঠামোর ক্ষয় রোধ করার খরচও অনেকটাই কমে আসবে। মূলত সে কারণেই, গোটা বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এক উদ্ভাবন হিসেবেই দেখছেন অভিজ্ঞ মহল। খোঁজ নিয়ে জানা গেল, স্টিলের পরিকাঠামোর ক্ষয় রোধ করতে যে কোটিং তৈরি করা হয়েছে তাতে অধ্যাপক চন্দন দাসকে সাহায্য করেছিলেন রিসার্চ স্কলার ডক্টর অনিল কুমার।

কী দিয়ে তৈরি হয়েছে ওই বিশেষ কোটিং?

সাধারণত সামুদ্রিক পরিবেশ বা লবণাক্ত জলের সংস্পর্শে থাকার কারণে সমুদ্রের তীরবর্তী বিভিন্ন সমুদ্র সেতু, প্ল্যাটফর্ম, বন্দর সংলগ্ন বিভিন্ন পরিকাঠামো সহ জাহাজ নির্মাণের ক্ষেত্রে যে ধরনের ধাতু ব্যবহার করা হয় তা নোনা জলের সংস্পর্শে এলে দ্রুত ক্ষয় হতে শুরু করে। তবে বিশেষজ্ঞদের দাবি, অধ্যাপক দাস যে নতুন কোটিং তৈরি করেছেন তা এই ধরনের ক্ষয় সহজেই রোধ করবে।

এ প্রসঙ্গে বিশেষ কোটিংয়ের উদ্ভাবক অধ্যাপক চন্দন দাস সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান, মূলত রিডিউসড গ্রাফিন অক্সাইড, পলিঅ্যানাইলিন এবং জিঙ্ক অক্সাইডকে একত্রিত করে এই বিশেষ কোটিং তৈরি করা হয়েছে। এই কোটিংয়ের ফলে স্টিলের তৈরি কাঠামো নোনা জল বা সমুদ্র পরিবেশে ক্ষয়ে যাবে না। মূলত তিন উপাদানের সংমিশ্রণে তৈরি বিশেষ কোটিংটি আগামী দিনে দুর্ঘটনার হাত থেকে বাঁচাবে বিভিন্ন পরিকাঠামো থেকে শুরু করে আম জনতাকে এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ।

অবশ্যই পড়ুন: একটি টয়লেট ব্রাশের দাম ৭৬ হাজার টাকা! কত সম্পদের মালিক ভ্লাদিমির পুতিন? জানুন

উল্লেখ্য, অধ্যাপক দাসের এমন উদ্ভাবন দেখার পর গবেষক দলের অনেকেই একেবারে আক্ষেপের সুরে বলছেন, “এই কোটিং যদি কিছু বছর আগে আবিষ্কার করা যেত তাহলে বোধ হয় 1984 সালের ভোপাল গ্যাস দুর্ঘটনার মতো মর্মান্তিক অধ্যায় দেখতে হতো না আমাদের।”

Leave a Comment