বিমানবন্দরে গুটি কয়েক মোহনবাগান সমর্থক, দিমির জনপ্রিয়তায় তুমুল ভাটা!

বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়েছে মোহনবাগান তারকা তথা অস্ট্রেলিয়ান স্টার দিমিত্রি পেত্রাতোসের (Dimitri Petratos)! একটি দৃশ্য তেমনটাই ইঙ্গিত দিচ্ছে। আসলে, 5 তারিখ শহরে পৌঁছে গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার মোহনবাগানের অনুশীলনে যোগ দেওয়ার কথা ছিল অস্ট্রেলিয়ান ফুটবলার দিমির। সেই মতোই অন্যান্য সময়ের মতো কলকাতা বিমানবন্দরে এসে পৌঁছেছিলেন মোহনবাগান তারকা। তবে এদিন রাতে দিমিকে কেন্দ্র করে বিমানবন্দর চত্বরের চিত্রটা ছিল সম্পূর্ণ আলাদা। দেখা যায়নি শয়ে শয়ে ভক্তের ঢল, শোনা যায়নি, দিমি দিমি চিৎকারও। বলা চলে, গুটিকয়েক ভক্ত এবং মিডিয়া কর্মীরা স্বাগত জানান মোহনবাগান ফুটবলারকে। আর এখানেই প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়ল দিমির?

জনপ্রিয়তা কমেছে মোহনবাগান তারকার?

একটা সময় ছিল, দিমি শহরে আসছে জানলে কলকাতা বিমানবন্দরের সামনে ভিড় জমাতেন ভক্তরা। দিমিকে দেখার জন্য অফিস ছুটি করেও দমদম এয়ারপোর্ট এর সামনে হত্তে দিয়ে দাঁড়িয়ে থেকেছেন এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন কাজ নয়। মোহনবাগান তারকা বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে আসতেই চারপাশে ফেটে পড়তো স্লোগানে। চারিদিকে শুধু কালো মাথা আর দিমি দিমি চিৎকার। পছন্দের ফুটবলারকে একেবারে কাঁধে তুলে বিমানবন্দর থেকে গাড়ি পর্যন্ত ছেড়ে দিয়ে আসতেন সমর্থকরা। সেসব দিন আজ কোথায়?

এবার যখন দিমি দমদম বিমানবন্দরে নামলেন, ধরা পড়ল সম্পূর্ণ ভিন্ন চিত্র। কোথায় সেই দিমি পাগল ভক্তরা? মনে মনে বোধ হয়, সেই উত্তরই খুঁজে চলেছেন সবুজ মেরুন ফুটবলার। কিন্তু যে মোহনবাগান ফুটবলারকে নিয়ে এত উন্মাদনা ভক্তদের, যাঁর নাম একেবারে বুকে ট্যাটু করে রাখার হিরিক পড়ে গিয়েছিল একটা সময়, সেই অস্ট্রেলিয়ান ফুটবলারকে তাহলে কি ভুলেই গেলেন ভক্তরা? এ নিয়ে অবশ্য মুখ খোলেননি দিমি। তবে বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে আসার সময় ক্যামেরার লেন্সে ধরা পড়েছিল, ভক্তদের উন্মাদনায় প্রাণজ্জ্বল দিমির মুখ যেন একেবারে অন্ধকারে ঢেকে গিয়েছে।

অবশ্যই পড়ুন: ব্রিগেডে ৫ লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠে ভিড় সনাতনীদের

মোহনবাগান ফুটবলারকে নিয়ে আর আগের মতো উন্মাদনা নেই ভক্তদের মধ্যে! গুটিকয়েক সমর্থকদের মধ্যে থেকে দিমিকে বিমানবন্দর ছেড়ে বেরিয়ে আসতে দেখে অনেকেই বর্তমান অবস্থার নেপথ্যে পুরনো কিছু ঘটনাকে দায়ী করছেন। কেউ বলছেন, শেষবারের মতো মোহনবাগানের ইরানে খেলতে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে সমর্থকদের মধ্যে তৈরি হয়েছিল ক্ষোভ। সেই থেকেই মোহনবাগানের প্র্যাকটিস সেশনের পর যুবভারতী স্টেডিয়ামের বাইরে ইরানে খেলতে না যাওয়ার কারণ জানতে গিয়েছিলেন কিছু ভক্ত। পরবর্তীতে তাঁদের প্রশ্নের জবাব দিতে জেমি ম্যাকারেন, জেসন কামিংসরা দাঁড়ালেও সেবার অহংকারী রূপ ধরা পড়েছিল দিমির। বাকিদের সেখান থেকে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। শোনা যায়, দিমি নাকি এও বলেছিলেন, “এদের প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার প্রয়োজন নেই!” তাহলে কি সেই সব ঘটনাই অস্ট্রেলিয়ান ফুটবলারের জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়ার অন্যতম কারণ? প্রশ্নটা আপাতত তোলাই থাকুক।

Leave a Comment