বিশ্বের সবথেকে বড় দুর্গা, এবারের পুজোয় বিরাট চমক নদিয়ায়

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: পুজোর বাকি আর মাত্র কয়েকটা দিন। তারপরেই আকাশে বাতাসে ছড়িয়ে পড়বে পুজো উৎসবের আনন্দ। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েক জায়গায় শুরু হয়েছে কাঠামো প্রস্তুতি। সকলেই যখন পুজো প্রস্তুতির কারণে ব্যস্ত, সেই সময় নতুন রূপে ফিরে আসতে চলেছে নদিয়ার কামালপুরের দুর্গাপুজো মণ্ডপ। গতবছরের মনের কষ্ট গ্লানি ভুলে বড় শিক্ষা নিয়ে ফিরে আসছেন তাঁরা। রয়েছে হাজারও চমক।

বিশ্বের সবচেয়ে বড় দুর্গার চমক

নদিয়ার ধানতলা থানার অন্তর্গত রানাঘাট কামালপুর অভিযান সংঘের এবারেও আর্কষণ হল বিশ্বের সবচেয়ে বড় দুর্গা। যদিও বা গতবার ১১২ ফুট উচ্চতার প্রতিমা গড়ে চমক দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু প্রশাসনিক জটিলতার কারণে বন্ধ হয়ে যায় পুজো। শুধু তাই নয়, বড় দুর্গা প্রতিমা বানানোর জন্য মামলার জল গড়ায় কলকাতা হাই কোর্টেও। তাই এবার আগের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে, প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে আবারও ৫৫ তম বর্ষে বড় দুর্গা ঠাকুর নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

কী বলছেন ক্লাব উদ্যোক্তা?

ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে মূর্তি তৈরির কাজ। যদিও কাঠামো প্রস্তুত আগেই ছিল এবার কিছুদিন আগেই খুঁটি পুজোর মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে কাজ। কিন্তু ক্লাব কর্তৃপক্ষের দাবি এবারেও সবচেয়ে বড় দুর্গার রেকর্ড তৈরি করবেন তাঁরা। বাংলার গ্রামাঞ্চলের নাম বিশ্ব দরবারে তুলে ধরতে এবং বিশ্বের সবথেকে বড় দুর্গা তৈরি করতে মৃৎশিল্পীদের সঙ্গে নিয়েই শুরু হয়েছে প্রতিমা বানানোর কাজ। এই প্রসঙ্গে উদ্যোক্তা সুজয় বিশ্বাস বলেন, “এই দুর্গা পূজো আমাদের গ্রামের আবেগের প্রতীক। এ বছর দুর্গা মাকে তাই প্রতিবারের মতো নতুনভাবে সাজানো হচ্ছে, থাকছে প্রতিমার গায়ে নানা চমকও।”

আরও পড়ুন: ৪১ হাজার কোটি টাকার তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের হদিশ রাজ্যে! ঘুরে যাবে বাংলার অর্থনীতি

ক্লাব কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে ইতিমধ্যেই মাটি ও ফাইভার দিয়ে কামালপুর গ্রামে ৫ বিঘা জায়গার উপর মণ্ডপ তৈরি করে প্রতিমা নির্মাণে কাজ শুরু হয়েছে। তবে এবছর বেশি শিল্পী নিয়োগ করা হতে চলেছে মণ্ডপ এবং প্রতিমা বানানোর জন্য। কারণ চলতি বছর দেরিতে কাজ শুরু হয়েছে। আগের বছর, ৪৬ জন শিল্পী ছোঁয়ায় তৈরি হয়েছিল প্রতিমা। কিন্তু এবছর মোট শিল্পীর সংখ্যা কত হবে তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত কিছু জানানো হয়নি। জানা যাচ্ছে দত্তপুকুর এবং কৃষ্ণনগর থেকে মৃৎশিল্পীরা এসেছেন এখানে মন্ডপ সজ্জার কাজে।

Leave a Comment