ভয়ঙ্কর চেহারা, রাক্ষুসে হাসি! তাও সেলিব্রেটিদের পছন্দ, কী এই লাবুবু পুতুল?

বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ার ট্রেন্ডিং টপিক ভয়ঙ্কর লাবুবু পুতুল (Labubu Doll)। টানা টানা চোখ, ছুঁচলো দাঁত ও হাড় কাঁপানো হাসি দিয়েই সমাজমাধ্যম মাতিয়ে রেখেছে এই পুতুলগুলি। তবে সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয়, এই ছোট্ট পুতুলের দাম লাখ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। বর্তমানে সেলিব্রিটি অর্থাৎ বহু নামজাদা ব্যক্তিত্বদের অন্যতম পছন্দ এই পুতুলগুলি। কিন্তু প্রশ্ন একটাই, সোশ্যাল মিডিয়ার ট্রেন্ডের সাথে গা ভাসানো এই ভয়ঙ্কর পুতুলগুলির বিশেষত্ব কী?

কী এই লাবুবু পুতুল?

প্রথমেই বলে রাখি, লাবুবু পুতুল আসলে হংকংয়ের বিখ্যাত ডিজাইনার, লুং-এর হাত ধরে পরিচয় পাওয়া একটি কাল্পনিক চরিত্র। বলা বাহুল্য, এই লাবুবু পুতুল নর্ডিক রূপকথার গল্প থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে তৈরি করা হয়েছিল।

জানা যায়, লাবুবু দ্য দা মনস্টারস নামক একটি সিরিজ তৈরি করেছিলেন, আর সেখানেই লাবুবু সহ অন্যান্য চরিত্রগুলি নর্ডিক লোক কাহিনী এবং পৌরাণিক কাহিনী থেকে অনুপ্রাণিত হয়। এই লাবুবু পুতুলের বিক্রেতা আসলে চিনা কোম্পানি পপ মার্ট।

পপ মার্টের হাত ধরেই জনপ্রিয়তা পায় লাবুবু পুতুল

পুরনো ইতিহাস ঘেঁটে জানা গেল, চিন থেকেই শুরু হয় এই লাবুবু পুতুলের যাত্রা। জানা যায়, চিনা সংস্থা পপ মার্টের হাত ধরেই প্রথম জনপ্রিয়তা পেয়েছিল এই বিশেষ পুতুল। বলে রাখি, সংস্থাটির বিক্রয়ের বিশেষ কৌশলের কারণে জনপ্রিয়তা পায় এই অপরূপ পুতুলটি। হ্যাঁ, দেখতে ভয়ঙ্কর হলেও আসলে এটি অসাধারণ সুন্দর। এছাড়া আলাদা কোনও বিশেষত্ব নেই এই পুতুলের.. ভয়ঙ্কর চেহারা ও শয়তানি হাসিকে বাদ রেখে এর বাকি সবটুকুই অন্যান্য পুতুলদের মতোই।

খোঁজ নিয়ে জানা গেল, চিনের সংস্থা পপ মার্ট 2019 সালে প্রথমবারের জন্য ব্লাইন্ড বক্স হিসেবে এই পুতুল বিক্রি শুরু করে। ব্লাইন্ড বক্স হিসেবে বিক্রির কারণে ক্রেতার কোন পুতুল পাবেন তা নির্ভর করবে তাদের ভাগ্যের ওপর। হ্যাঁ, ভাগ্য পরীক্ষার বিষয়টিকে বিক্রয় কৌশলের সাথে মিলিয়ে এই পুতুলের জনপ্রিয়তা বাড়িয়ে দিয়েছিল পপ মার্ট। সেই থেকে পুতুলটি জনপ্রিয়তা ক্রমশ বাড়ছে।

অবশ্যই পড়ুন: ২১ জুলাই কলকাতার একাধিক রাস্তায় বিধিনিষেধ, বিজ্ঞপ্তি দিল কলকাতা পুলিশ

 

প্রসঙ্গত, ওয়াকিবহাল মহলের মতে, লাবুবু পুতুলের বিরাট জনপ্রিয়তা থাকার পাশাপাশি বহু নামজাদা ব্যক্তিত্ব বলা ভাল, সেলিব্রেটিরা এই পুতুলটি ব্যবহার করার কারণে দিন দিন এর চাহিদা বেড়েছে। শুধু তাই নয়, সাম্প্রতিক সময়ে পুতুলটি বিক্রির জন্য নতুন নতুন কৌশল অবলম্বন করছেন বিক্রেতারা। মূলত সেই সব আকর্ষণীয় বিক্রয় কৌশলের কারণেও পুতুলটিকে কিনতে ঝাঁপাচ্ছেন অনেকেই। উল্লেখ্য, দাবি করা হয়, এই পুতুল নাকি মেসোপটেমিয়া সভ্যতার সাথে যুক্ত এক রাক্ষসের প্রতিরূপ!

Leave a Comment