প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: পুজোর আগে তিন দিনের উত্তরবঙ্গ সফরে এলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার দুপুর তিনটে নাগাদ বাগডোগরা বিমানবন্দরে পৌঁছোন মুখ্যমন্ত্রী। সেখান থেকেই সোজা নৌকাঘাটে ঠাকুর পঞ্চানন বর্মার প্রয়াণ দিবসে তাঁর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করে উত্তরকন্যার উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন তিনি। এদিকে দলনেত্রীকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানাতে গিয়ে বাধার মুখে পড়লেন দার্জিলিং তৃণমূল মাইনরিটি সেলের সভাপতি রফিকুল ইসলাম। আর তাই নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিলেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে বাঁধা !
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল অর্থ মঙ্গলবার, দার্জিলিং তৃণমূল মাইনরিটি সেলের সভাপতি রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন প্রতিবার দলের তরফ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বা অন্য কোনও মন্ত্রী উত্তরবঙ্গে আসলেই স্বাগতম জানানোর জন্য বরাবরই বিমানবন্দরে ঢুকতে পারতেন তাঁরা। কিন্তু গতকাল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যের ক্রীড়া ও যুব কল্যাণ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে স্বাগত জানানোর জন্য বিমানবন্দরে গেলেও মেলেনি ঢুকতে পারার অনুমতি। বিমান কর্তৃপক্ষের তরফে অনুমতি পত্র দেখালেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে না দেওয়ার দলের অন্দরেই ক্ষোভ প্রকাশ করলেন রফিকুল ইসলাম।
দলের অন্দরে ক্ষোভ প্রকাশ সভাপতির
এদিন দার্জিলিং তৃণমূল মাইনরিটি সেলের সভাপতি রফিকুল ইসলাম সংবাদমাধ্যমে জানান যে, “জানি না আমরা দলীয় কর্মী হয়ে তাঁদের নজরে কোথায় রয়েছি, এতদিন ধরে আমরা দলের বার্তা যথাযথ ভাবে পালন করে চলেছি, কিন্তু নতুন করে কোর কমিটি তৈরি হওয়ার পরেই সব পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে। শুধু তাই নয় কোনও মিটিং বা প্রশাসনিক সভাও হচ্ছে না। সেক্ষেত্রে বাকি দলীয় কর্মীদের কাছে খারাপ বার্তা যাচ্ছে। মনে রাখতে হবে মাইনরিটির ভোটটাই কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ। কারণ একমাত্র দিদির ঝুলিতেই প্রথম এই মাইনরিটির ভোটটাই পড়ে। তাই আমি চাই আমাদের বার্তা যেন দিদির কাছে পৌঁছয় এবং তিনি যেন এর সঠিক বিচার করে।”
আরও পড়ুন: উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়েই বিপত্তি! মাঝরাতে বাধ্য হয়ে উত্তরকন্যায় গিয়ে উঠলেন মমতা, হল কী?
প্রসঙ্গত, আজ অর্থাৎ বুধবার ‘উত্তরকন্যা’ থেকে বেলা ১২টায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চলে যাবেন জলপাইগুড়িতে। সেখানে এবিপিসি মাঠে সরকারি সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে জলপাইগুড়িতে আদিবাসীদের হাতে জমির পাট্টা তুলে দেবেন বলে জানা গিয়েছে। তা ছাড়া উত্তরবঙ্গের একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করার কথা রয়েছে। সবশেষে আগামী ১১ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ আগামীকাল বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী কলকাতায় ফিরে যাওয়ার কথা রয়েছে।