শীতে ঠোঁট ফাটা থেকে বাঁচার উপায়, রইল ৫ ঘরোয়া টোটকা

Winter Dry Lip Care

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: শীতপ্রেমীদের কাছে শীতকাল মানে যতটা আনন্দের ততটাই আবার ভোগান্তির। কারণ যতই শীত সকলের মনে দুপুরের মিঠে রোদ এবং পিকনিকের মজা নিয়ে আসুক না কেন সঙ্গে করে ব্যাগ ভরে নিয়ে আসে শুষ্ক আবহাওয়া। আর তাতেই ত্বক আর চুলের বারোটা বেজে যায়। বিশেষ করে ঠোঁট ফাটার (Winter Dry Lip Care) সমস্যা হল সবচেয়ে ভয়ঙ্কর। সারা বছরের সুন্দর গোলাপী ঠোঁট শীতের হাওয়া গায়ে মাখতেই কেমন যেন রক্তাক্ত অবস্থায় পরিণত হয়। আর তাতেই বেশ সমস্যায় পড়ে অনেকে।

শীতকালে ফাটা ঠোঁটের সমস্যা থেকে বাঁচার জন্য অনেকেই ঠোঁটে লিপবাম ও অন্যান্য ক্রিম লাগান কিন্তু তারপরও ঠোঁটের সমস্যা দূর হয় না। চামড়া উঠে এসে রক্ত জমাট বেঁধে যায়। তবে চিন্তার কিছু নেই, আমাদের আজকের প্রতিবেদন ফাটা ঠোঁটের জন্য কিছু কার্যকরী ঘরোয়া টোটকা নিয়ে এসেছে, যা ব্যবহার করা মাত্রই নিমেষে আপনার সুন্দর ঠোঁটের রুক্ষভাব কেটে গিয়ে গোলাপী এবং মোলায়েম হবে। চলুন সম্পূর্ণটা জেনে নেওয়া যাক বিস্তারিত।

মধুর ম্যাজিক

শীতকালে যদি ঠোঁটের ত্বক খুবই শুষ্ক হয়ে যায়, তাহলে তাতে মধু লাগান। কারণ মধু হল রূপচর্চার এক অন্যতম উপাদান। ঠোঁটে মধু লাগালে শুষ্কতা যেমন কমে যায় ঠিক তেমনই মধুতে থাকা ময়েশ্চারাইজিং এজেন্ট ঠোঁটের ত্বকে আর্দ্রতা আনে। ঠোঁটে মধু লাগিয়ে ৫ মিনিট আলতো করে ম্যাসাজ করুন। এরপর গরম জলে ঠোঁট পরিষ্কার করুন। দিনে দুই থেকে তিনবার মধু লাগালে ফাটা ঠোঁটের ব্যথা এবং শুষ্ক ঠোঁট থেকেও মুক্তি মিলবে খুব সহজেই।

অলিভ অয়েলের ব্যবহার

অলিভ নিঃসৃত তেল একটি প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার। এটি শীতে ত্বক, চুল ও ঠোঁট নরম রাখে। অলিভ তেলে ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে যা ত্বককে পুষ্ট করে এবং নিরাময় প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে। নারকেল তেল হালকা গরম করে ঠোঁটে লাগালে ঠোঁটের শুষ্কতা চলে যাবে। এবং ঠোঁট নরম তুলতুলে থাকবে।

দুধের সরের ব্যবহার

রাতে ঘুমনোর আগে সামান্য ঘিয়ে যদি একটু দুধের সর মেশানো যায় তাহলে ঠোঁটে ম্যাজিকের মত কাজ করে। দীর্ঘ সময় ধরে ত্বককে নরম রাখে ঘি। আর দুধের সর ত্বকের অভ্যন্তরের ময়লা দূর করে ও মৃত কোষ ঝরিয়ে দেয়। তাই এই মিশ্রণ সারা রাত ঠোঁটে দিয়ে রাখলে ঠোঁট নরম তো থাকেই, সঙ্গে ঠোঁটের কালো ভাবও দূর হবে।

আরও পড়ুন: দাবি না মানলেই বিজেপিকে সমর্থন! তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি দিয়ে নয়া সমীকরণের ইঙ্গিত বংশীর

অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার

ঘৃতকুমারী পাতার নিঃসৃত রস অর্থাৎ অ্যালোভেরা জেল ত্বকের সৌন্দর্য ধরে রাখার এক অন্যতম চাবিকাঠি। এটি যেমন চুল ও ত্বক ভালো রাখে ঠিক তেমনই এটি ঠোঁটও ভালো রাখে। প্রথমে অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে নারকেল তেল মিশিয়ে নিন। এরপর ঠোঁটে লাগিয়ে নিন। এতে ঠোঁট মোলায়েম হবে ও ফাটা ঠোঁট নিমেষে দূর হবে।

মাখনের ব্যবহার

পাহাড়ি বাড়িতে ব্যবহৃত মাখন কেবল রান্নার কাজেই নয়, এর সঙ্গে রূপচর্চার অনেক মিল রয়েছে। স্বাস্থ্য উপকারিতাও রয়েছে বেশ। ফাটা ঠোঁটে মাখন লাগালে তাৎক্ষণিকভাবে আর্দ্রতা পাওয়া যায়। ব্যবহারের সবথেকে ভালো সময় হল রাতে। ঘুমনোর আগে যদি মাখন লাগান, তাহলে সকালে ঠোঁটের স্তর নরম থাকবে এবং ফাটা কমবে।

Leave a Comment