প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: মৌচাকের ঠিক জায়গায় লাগল ঢিল! বালিপাচার কাণ্ডের (Sand Smuggling Case) তদন্তে এবার বড় সাফল্য আদায় করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ED! লাখ লাখ টাকা নগদ উদ্ধার করা হয়েছে ঝাড়গ্রামের বালি ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে। রিপোর্ট অনুযায়ী, এখনও টাকা গোনার কাজ জারি আছে বলে জানা গিয়েছে। শুধু বাড়ি নয় এছাড়াও সেই ব্যবসায়ীর গাড়িতেও তল্লাশি চালাচ্ছেন অফিসাররা।
১২ লাখ টাকা নগদ উদ্ধার
দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ উঠছিল, অবৈধ বালি খনির কারণে পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে। আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই সার্চ ওয়ারেন্টের ভিত্তিতে প্রথমবার বালিপাচার কাণ্ডের তদন্তে নামল ED। রবিবার মধ্যরাতেই রাজ্যের নানা দিকে অভিযান চালাতে রওনা দিয়েছিল তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। আজ, সকালেই ইডি আধিকারিকরা পৌঁছে যান কলকাতা সহ একাধিক এলাকায়। যার মধ্যে অন্যতম হল ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুরে। সেখানকার বালি ব্যবসায়ী শেখ জহিরুল আলির বাড়িতে আচমকা হানা দেয়। আর তাতেই উদ্ধার হয় লাখ লাখ টাকা। টিভি ৯ বাংলার শেষ আপডেট অনুযায়ী এখনো পর্যন্ত ১২ লাখ টাকা নগদ উদ্ধার করেছে ইডি, তবে কাউন্টিং এখনও চলছে।
গাড়িতে তল্লাশি চালানো হচ্ছে!
সুবর্ণরেখা নদীর পাশেই বাড়ি বালি ব্যবসায়ী শেখ জহিরুল আলির। এলাকাতেও বেশ প্রতিপত্তি তাঁর। স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকেই সুনাম করেছে শেখ জহিরুল আলির। কিন্তু ভিতরে যে অন্য রহস্য লুকিয়ে আছে, তা এবার ধীরে ধীরে প্রকাশ্যে আসছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে প্রথমে সাইকেল মিস্ত্রি ছিলেন জহিরুল। এরপর ভিলেজ পুলিশ হয়ে যান। সেখান থেকে চাকরি ছেড়ে বালি তোলা ও সরবরাহের ব্যবসায় নামেন। এরপরই বিপুল লাভ শুরু হয়। গোপীবল্লভপুরে জহিরুলের পাড়ায়, যেখানে অধিকাংশ বাড়িই একচালার সেখানে একমাত্র তাঁর বাড়িটি বিশালাকার তিনতলা এবং চারপাশে সিসিটিভিতে মোড়া। তাই স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠছে এত কম সময়ে এত সম্পত্তি কীভাবে অর্জন করল জহিরুল। গাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: মর্মান্তিক! স্ত্রীকে SSC পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছে বাড়ি ফেরার পথে দুর্ঘটনায় মৃত্যু শিক্ষকের
প্রসঙ্গত, বালি পাচার কাণ্ডের ঘটনায় ঝাড়গ্রাম ছাড়াও বেহালার জেমস লং সরণীতেও একটি বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। সেই বাড়িতে ডিজি মাইনিং নামক একটি সংস্থার অফিস রয়েছে। তারাও বালি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত তাই সেখানেও কেন্দ্রীয় বাহিনী রয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, এই সংস্থার আরও একটি অফিস রয়েছে সল্টলেকের সেক্টর ফাইভে। সেখানেও যাওয়ার কথা ED-র। সব মিলিয়ে ইডির মোট ৪-৫টি টিম তদন্তে নেমেছে একযোগে। একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছেন তারা। আশঙ্কা করা হচ্ছে আজও রাশি রাশি টাকার পাহাড় উদ্ধার হতে চলেছে।