প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: ভয়ংকর বিপদ! রাজস্থানের (Rajasthan) জয়পুরে গভীর রাতে তিন তলা পুরোনো বাড়ি ভেঙে মৃত্যু হল বছর পূর্বস্থলীর ৩৫ এর পরিযায়ী শ্রমিক এবং ৫ বছরের মেয়ের! চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি এলাকা জুড়ে। এইমুহুর্তে যেখানে ভিনরাজ্যে বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকদের বাংলা ভাষা নিয়ে এক চরম উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, সেখানে দাঁড়িয়ে আরও এক পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যুকে ঘিরে ফের উঠে আসছে একের পর এক প্রশ্ন।
ঠিক কী ঘটেছে?
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার, গভীর রাতে রাজস্থানের জয়পুরে এক পুরোনো বাড়ি ভেঙে চাপা পড়ে মৃত্যু হল পূর্বস্থলী ২ ব্লকের ঝাউডাঙা পঞ্চায়েতের কাশিপুর এলাকার এক পরিযায়ী শ্রমিক প্রভাত বাগদি এবং তাঁর মেয়ে পিউ বাগদি। এদিকে ওই একই দুর্ঘটনায় মারাত্মকভাবে জখম হয়ে প্রভাত বাবুর স্ত্রী সুমিত্রা বাগদি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পাশাপাশি আরও ৪ জন জখম হয়েছেন বাড়ি ভেঙে যাওয়ায়। সকলেই এইমুহুর্তে হাসপাতালে ভর্তি। চিকিৎসকদের তরফে জানানো হয়েছে, আপাতত তাঁদের অবস্থা স্থিতিশীল।
সকলেই একই বাড়িতে থাকতেন ভাড়া!
ঘটনা সূত্রে জানা গিয়েছে, আহত পরিযায়ী শ্রমিকদের সকলেই পূর্বস্থলী থানার ঝাউডাঙ্গার কাশীপুরের বাসিন্দা। তাঁরা সকলেই একসঙ্গে রাজস্থানে গিয়েছিলেন গয়না তৈরির কাজ করতে। সেই কারণে কাজের সূত্রে একসঙ্গে গ্রামের কয়েকটি পরিবার ভাড়া নিয়েছিল জয়পুরের সুভাষচক এলাকার এই তিন তলা পুরনো বাড়ি। দীর্ঘদিন ধরেই এই বাড়ি থেকে পাথর, ইট ক্ষয়ে ক্ষয়ে পড়ছিল, কিন্তু তবুও তাঁরা অন্য জায়গায় সহজে ভাড়া যাচ্ছিল না, সম্পূর্ণ ধ্বংসপ্রাপ্ত অবস্থায় ছিল এই বাড়িটি। এমতাবস্থায় গতকাল গভীর রাতে এক বড় দুর্ঘটনা ঘটে গেল।
আরও পড়ুন: বিপদ বুঝে আত্মসমর্পণ নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার! হেফাজতে চাইল ED
রাজস্থানের জয়পুরে পরিযায়ী শ্রমিকদের মৃত্যুর ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেন পূর্বস্থলী উত্তরের তৃণমূল বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “কাশিপুর গ্রামে এক পরিযায়ী শ্রমিক এবং তাঁর মেয়ের মৃত্যুর কথা শুনেছি। আমি ওই গ্রামে গিয়ে খোঁজখবর নেব।” এদিকে এই ঘটনা পুনরায় প্রশ্ন তুলছে ভিন রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিয়ে।