EMI মিস হলেই লক হয়ে যাবে স্মার্টফোন, নতুন নিয়ম আনার পথে RBI

RBI

সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: ভারতের আর্থিক পরিষেবায় এবার বিরাট বড় পরিবর্তন আসছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (RBI) এবার এমন এক নিয়ম আমার কথা ভাবছে, যেখানে গ্রাহকরা যদি সময়মতো মোবাইল ফোনের EMI না দেয়, তাহলে ব্যাঙ্ক বা ঋণদাতা সংস্থা সেই ফোনটিকে লক করে দিতে পারবে। অর্থাৎ কিস্তি বাকি থাকলেই এবার ব্যবহারকারীদের মোবাইল নিষ্ক্রিয় হয়ে যাবে।

কেন আনা হচ্ছে এই নিয়ম?

আসলে ভারতের ছোট ঋণ বা কনজ্যুমার ইলেকট্রনিক্স খাতে দিনের ক্ষেত্রে দিনের পর দিন ইএমআই-এর হার বাড়ছে, বিশেষ করে মোবাইল ফোন কেনার ক্ষেত্রে। এক রিপোর্ট বলছে, ভারতের প্রায় এক তৃতীয়াংশ কনজ্যুমার ইলেকট্রনিক্স এখন ইএমআই-তে কেনা হয়। আর দেশে মোবাইল কানেকশনের সংখ্যা প্রায় 1.16 বিলিয়ন। ফলে এই নিয়ম কার্যকর হলে কোটি কোটি গ্রাহকদের উপর প্রভাব পড়বে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আসলে ইএমআই তোলার জন্যই নতুন নিয়মা আনার পথে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।

উল্লেখ্য, গত বছর আরবিআই অন্যান্য ব্যাঙ্ক এবং এনবিএফসি সংস্থাগুলিকে ফোনের অ্যাপ ব্যবহার করে গ্রাহকদের মোবাইল লক করা থেকে বিরত থাকতে বলেছিল। তবে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে আলোচনা করার পর এবার নিয়ম বদলাচ্ছে তারা। রাইটার্সের এক প্রতিবেদন দাবি করছে, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক খুব শীঘ্রই Fair Practices Code আপডেট করতে চলেছে।

নতুন নিয়মে কী কী থাকবে?

জানিয়ে রাখি, নতুন নিয়ম আসলে মোবাইল লক করার আগে অবশ্যই গ্রাহকদের সম্মতি নিতে হবে। এমনকি ফোন লক হলেও গ্রাহকদের ব্যক্তিগত তথ্যের কোনওরকম ক্ষতি হবে না। আর এই নিয়ম কার্যকর হলে বাজাজ ফাইন্যান্স থেকে শুরু করে ডিএমআই ফাইন্যান্স, চোলামন্ডলম ফাইন্যান্সের মতো বড় বড় এনবিএফসি সংস্থাগুলি লাভবান হবে। পাশাপাশি ঋণ পুনরুদ্ধার সহজ হবে এবং খারাপ ক্রেডিট হিস্ট্রির গ্রাহকদের সহজে ঋণ দেওয়া যাবে।

আরও পড়ুনঃ ব্রাজিলের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বলসোনারোর ২৭ বছরের কারাদণ্ড!

তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছে, এই নীতি সাধারণ মানুষের জীবনে বিরাট প্রভাব ফেলতে পারে। কনজ্যুমার গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা শ্রীকান্ত এল মন্তব্য করেছেন, ফোন লক করে দেওয়া মানে মানুষের পড়াশোনা, চাকরি কিংবা অন্যান্য কাজে ব্যাঘাত ঘটানো। এটি আসলে প্রযুক্তিকেই অস্ত্র হিসেবে টাকা আদায় করার একটি পদ্ধতি হতে চলেছে। তবে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, তাদের মূল লক্ষ্য ঋণ আদায় করা। এর পাশাপাশি গ্রাহকদের তথ্য সুরক্ষা এবং অধিকার রক্ষাও সমান গুরুত্বপূর্ণ। তাই স্পষ্ট নির্দেশিকা তৈরি না করে এই নিয়ম কার্যকর করা হবে না।

Leave a Comment