বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: মন মানে না থেকে চোখের জলে, মন তোকে দিলাম থেকে পিয়া রে… একটা সময়ে বাংলা ইন্ডাস্ট্রি মাতিয়ে রেখেছিলেন অসমের ছেলে জুবিন গর্গ (Zubeen Garg)। একটা গোটা প্রজন্ম তাঁর গান শুনতে শুনতে বড় হয়েছে। আজও খোঁজ করলে এমন বহু ছেলে মেয়েকে পাওয়া যাবে, যারা রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে জুবিনের গানে একবার হলেও নিজেদের চোখ ভিজিয়ে নেন। এহেন একজন তারকার চলে যাওয়া কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না, গোটা বঙ্গ সমাজ।
টলিউড, থেকে বলিউড, মিউজিকের দুনিয়ায় তিনি ছিলেন অন্যতম বেতাজ বাদশা। তাঁর গান শুনে শুনেই গায়ক হয়েছেন এমন উদাহরণও নেহাত কম নয়। দেশের মাটি ছাড়িয়ে বিদেশেও তাঁর সুখ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছিল। তবে এহেন একজন ব্যক্তিত্ব যে কার্যত সারাদিন মদে ডুবে থাকতেন সে কথাও জানতে বাকি নেই ভক্তদের। শোনা যায়, একবার নাকি খোদ অরিজিৎ সিং নিজেও তাঁকে মদ্যপান থেকে সরে আসার কথা বলেছিলেন। কিন্তু অরিজিৎ ভাইয়ের সেই কথা রাখেননি জুবিন।
জুবিনের মতে অরিজিত গাঁজা খায়
সুস্থ থাকাকালীন একটি পডকাস্টে জুবিন স্বীকার করে নিয়েছিলেন তিনি মদের প্রতি প্রবল আসক্ত। শুধু তাই নয়, অসমের গায়ক এও বলেন (Zubeen Garg On Arijit Singh), স্বয়ং অরিজিৎ তাঁকে মদ ছেড়ে গাঁজা ধরার পরামর্শ দিয়েছিলেন। যদিও সে কথা একেবারেই সোজাসুজি জানাননি তিনি। জুবিনের বক্তব্য, আমি রয়েছি সমুদ্রে। ও রয়েছে এয়ারফোর্সে। সেখানে আমাকে যাওয়ার কথা বলেছিল।
পডকাস্ট চলাকালীন জুবিন গর্গকে বলতে শোনা গিয়েছিল, অরিজিৎ আমার দাদার মতোই। সে গাঁজায় আছে, আমি পানীয়তে( মদ).. আমি নেভিতে, সে এয়ার ফোর্সে। এরপরই জুবিন বলেন, ও আমাকে বেশ কয়েকবার এয়ার ফোর্সে আসার জন্য বলেছিল। কিন্তু আমি সেটা শুনিনি। ধোঁয়া আমার একেবারেই অসহ্য লাগে। আসলে মজার ছলে এয়ার ফোর্স অর্থাৎ গাঁজা এবং নেভি অর্থাৎ মদের কথা বুঝিয়েছিলেন গায়ক।
অবশ্যই পড়ুন: ‘মতুয়ারা হিন্দু নয়, হিন্দু কোনও ধর্ম নয়!’ SIR নিয়ে বিজেপিকে বিঁধে বিস্ফোরক মমতা বালা ঠাকুর
কেন এত মদাসক্ত ছিলেন জুবিন?
জুবিন নাকি তার ঘনিষ্ঠ মহলে বলেছিলেন, বোনের মৃত্যুর পরই আমি নেশার দিকে ঢলে পড়ি। দিন দিন আমার নেশার প্রতি আসক্তি বেড়েই চলেছিল। এক কথায়, বোন মারা যাওয়ার পরই মদের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েন জুবিন। বলা বাহুল্য, গাড়ি দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল বিখ্যাত গায়ক জুবিনের বোন জংকি বরঠাকুরের।