বন্ধ হয়ে যাবে রান্না! এই এক পণ্যের জন্যই পাক বন্ধু তুরস্কের ওপর নির্ভরশীল ভারত

বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: গত মাসে ভারত-পাক সংঘাত চলাকালীন সন্ত্রাসবাদের আশ্রয়দাতা পাকিস্তানকে একেবারে খোলাখুলি সমর্থন করেছিল তুরস্ক (Turkey)। আর এরপর থেকেই ভারতীয়দের রোষানলে পড়ে যায় দেশটি। ওঠে তুর্কি বয়কটের ডাক। তবে এর মাঝে গঙ্গা দিয়ে জল বয়ে গিয়েছে অনেক।

কিন্তু তা সত্বেও পাকিস্তান দরদী তুর্কির সাথে বাণিজ্য বন্ধ হয়নি ভারতের। যদিও বাণিজ্য বন্ধের প্রসঙ্গে ভারতীয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা দাবি করেছিলেন, তুর্কি সাথে ব্যবসা বন্ধ করলে ওদেশের তোর ক্ষতি হবেই, সেই সাথে চরম বিপদে পড়বেন ভারতের রপ্তানিকারকরাও।

কাজেই সেইসব দিক মাথায় রেখেই হয়তো তুর্কির সাথে বাণিজ্যিক সম্পর্ক এখনও বহাল রেখেছে দিল্লি। তবে তুরস্ক যেভাবে দিনের পর দিন পাকিস্তানের সাথে সখ্যতা বাড়াচ্ছে তাতে আগামী দিনে চাপে পড়তে পারে ভারত! এহেন আবহে, তুর্কি পণ্য বয়কটের ডাক আরও জোড়ালো হয়েছে। কিন্তু অনেকেই হয়তো জানেন না, অন্যান্য পণ্যের পাশাপাশি হেঁসেলের একটি গুরুত্বপূর্ণ পণ্যের জন্য তুরস্কের ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল ভারত। কী সেটি?

এই পণ্যের জন্য তুরস্কের ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল ভারত

ভারতের অপারেশন দোস্তের পরও পাকিস্তানকে একেবারে কোলে তুলে সমর্থন জানিয়েছে তুর্কি। যা একেবারেই মেনে নিতে পারেনি দেশবাসী। ফলত, কেন্দ্র আনুষ্ঠানিকভাবে তুর্কির সাথে বাণিজ্য বন্ধ না করলেও দেশের বহু ব্যবসায়ী নিজ নিজ উদ্যোগে তুর্কি পণ্য বয়কট করেছেন। এমতবস্থায়, তুরস্ক থেকে আমদানি হওয়া বেশ কিছু পণ্যের মধ্যে একটি বিশেষ পণ্যের জন্য টান দেখা দিয়েছে দেশে!

আসলে দক্ষিণবঙ্গ সহ অন্যান্য এলাকা মিলিয়ে ভারতে পোস্ত চাষ অত্যন্ত সীমিত। কাজেই, এই পণ্যটির বেশিরভাগ চাহিদাই পূরণ হয় আমদানি থেকে। সেই সূত্র ধরেই তুরস্কের ওপর পোস্তর জন্য অনেকাংশেই নির্ভরশীল ভারত। বিশেষজ্ঞদের দাবি, ভারত-পাক সমস্যায় বিরোধীর ভূমিকা পালন করার কারণে ভারতের সাথে তুরস্কের ব্যবসা একেবারে বন্ধ হয়ে যায় যায় অবস্থা! আর সেই সূত্রেই, আমদানি কমেছে পোস্তর। ফলত, স্বাভাবিকভাবেই দেশে সাদা দানার পোস্তর দামে আগুন লেগেছে বলা যায়!

অবশ্যই পড়ুন: গম্ভীরের কাজে খুশি নন দাদা! ভারতীয় দলের কোচ হতে চাইলেন সৌরভ গাঙ্গুলি

ভারতের বাজারে হু হু করে বাড়ছে পোস্তর দাম

এখনও অনেকাংশেই পোস্তর জন্য তুরস্কের ওপর নির্ভর করে থাকতে হচ্ছে ভারতকে। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি যা তাতে আমদানি অনেকটাই কমেছে। আর সেই কারণেই এক ধাক্কায় পোস্তর দাম বেড়ে 800 থেকে 1050 টাকা কেজি হয়ে গিয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞ মহলের দাবি, মাঝে তালিবানি শাসনের কারণে পোস্ত আমদানিতে কিছুটা ভাটা পড়ে। তবে এবার ভারতের সাথে ধীরে ধীরে আফগানিস্তানের সম্পর্ক দৃঢ় হচ্ছে। ফলত, অনেকেই আশা করছেন খুব শীঘ্রই তুরস্ক থেকে ফের পোস্ত আমদানি বাড়বে।

Leave a Comment