“যা হয় তা ভালর জন্যই!” ইস্টবেঙ্গল ছাড়তেই সুখবর পেলেন সন্দীপ নন্দী

Goalkeeper Coach Sandip Nandy get a new job as goalkeeper coach of U23 national team

বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: IFA শিল্ডের ডার্বিতে মোহনবাগানের কাছে পরাস্ত হওয়ার পরই ইস্টবেঙ্গল ছেড়েছিলেন লাল হলুদের প্রাক্তন গোলকিপার কোচ সন্দীপ নন্দী (Goalkeeper Coach Sandip Nandy)। সে কথা বোধহয় মনে আছে সকলেরই। তবে মশাল ব্রিগেড ছাড়ার পর বেশিদিন বেকার থাকতে হল তাঁকে। জানা গিয়েছে, নৌশাদ মুসার জাতীয় দলে গোল কিপিং কোচের দায়িত্ব পেয়েছেন সন্দীপ। মূলত অনূর্ধ্ব 23 জাতীয় দলে গোলকিপার কোচের কাজ করবেন তিনি। লাল হলুদ থেকে একেবারে সরাসরি জাতীয় শিবিরে দায়িত্ব পাওয়ার পরই সন্দীপকে নিয়ে বেড়েছে চর্চা।

থাইল্যান্ড ম্যাচের আগেই বড় দায়িত্ব পেলেন সন্দীপ

খুব শীঘ্রই ফিফা উইন্ডোতে থাইল্যান্ডের বিরুদ্ধে মাঠে নামবে ভারতের অনূর্ধ 23 যুব দল। আগামী 15 এবং 18 নভেম্বর রয়েছে জোড়া ম্যাচ। সেই মতো ইতিমধ্যেই কলকাতায় প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে ভারতের অনূর্ধ্ব দল। এই দলেরই গোলকিপার কোচের ভূমিকায় দেখা যাবে বাঙালি তারকা সন্দীপ নন্দীকে। এককথায়, মনোমালিন্য নিয়ে ইস্টবেঙ্গল ছাড়ার পরই একেবারে বড় দায়িত্ব পেয়েই সন্দীপ প্রমাণ করলেন যা হয় তা ভালর জন্যই হয়!

ফুটবলার হিসেবেও সফল সন্দীপ নন্দী

বর্তমানে গোলকিপার কোচ হলেও একটা সময় দাপিয়ে ফুটবল খেলেছেন সন্দীপ নন্দী। তাঁর আইডল ছিলেন শিশির ঘোষ। স্বপ্ন দেখতেন, একদিন শিশিরের মতোই বড় মাপের স্ট্রাইকার হবেন। সেইমতো বেশ কয়েক ম্যাচে স্ট্রাইকার হিসেবেও খেলেছিলেন তিনি। তবে শেষ পর্যন্ত ছেলেবেলার কোচ গৌতম সরকারের কথায় হয়ে যান গোলকিপার। এরপর থেকে জাতীয় দলের হয়ে 54টি ম্যাচ খেলেছিলেন তিনি। জাতীয় লিগ সহ আই লিগের মতো বড় মাপের একাধিক টুর্নামেন্ট জিতেছেন সন্দীপ। ইস্টবেঙ্গলের হয়ে আশিয়ান কাপেও কামাল দেখিয়েছিলেন তিনি। তাতে চ্যাম্পিয়নও হয়েছিল দল। তবে ইস্টবেঙ্গল ছাড়াও মোহনবাগান, মাহিন্দ্রা ইউনাইটেড, চার্চিল ব্রাদার্স এর মতো দলে খেলেছেন সন্দীপ। এক কথায় সফল তাঁর ফুটবলার জীবন। পরবর্তীতে ফুটবলার জীবন শেষ করে গোলকিপার কোচ হিসেবেও কাজ করেছেন বহু দলে। এবার পেলেন জাতীয় যুবদলের দায়িত্ব।

অবশ্যই পড়ুন: জেলে বসে SSC পরীক্ষা দিয়েও অনুপস্থিত আব্দুস! হাইকোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছেন চাকরিপ্রার্থী

উল্লেখ্য, IFA শিল্ডের ফাইনালে নির্ধারিত সময়ের খেলা গোলশূন্য হলেও পরবর্তীতে টাইব্রেকারে ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়ে যায় মোহনবাগান। আর সেখান থেকেই শুরু হয়েছিল বিতর্ক। এদিন গোটা ম্যাচে প্রভসুখন সিং গিল ইস্টবেঙ্গলের গোলরক্ষকের দায়িত্ব পালন করলেও টাইব্রেকারে গিয়ে নামানো হয় দেবজিৎ মজুমদারকে। তবে সবুজ মেরুন শিবিরের একটি গোলও ঠেকাতে পারেননি তিনি। আর এরপরই লাল হলুদের স্ট্র্যাটেজি নিয়ে উঠতে শুরু করে প্রশ্ন। পরে জানা যায়, দেবজিৎকে মাঠে নামানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন গোলকিপার কোচ সন্দীপ। যার জেরে হাজারো সমালোচনার মাঝে প্রধান কোচের রোষের মুখে পড়তে হয়েছিল তাঁকে। যদিও সন্দীপের দাবি, তিনি ক্ষমা চাওয়া সত্ত্বেও তাঁর সাথে খারাপ আচরণ করা হয়েছে। ফলে শেষ পর্যন্ত লাল হলুদ শিবিরের ছেড়ে বেরিয়ে যান তিনি।

Leave a Comment