পেটে নেই শিক্ষা, এদিকে অস্ত্র কিনতে দেদার অর্থ ঢালছে বেহায়া পাকিস্তান!

প্রীতি পোদ্দার, ইসলামাবাদ: কোন দেশের কত মানুষ ঠিক কতটা শিক্ষিত তার উপর নির্ভর করে সেই দেশের উন্নতি। অর্থাৎ শিক্ষাই হল এক এবং অন্যতম উন্নতির চাবিকাঠি। অর্থাৎ কোনও দেশে শিক্ষাগত যোগ্যতার হার বাড়লে সেই দেশের উন্নতি রোখা কারও সাধ্যে নেই। আর সেই শিক্ষা ক্ষেত্রেই এবার ভরাডুবি অবস্থা পাকিস্তানের (Pakistan)। ভারতকে সামরিক ক্ষমতা দেখাতে গিয়ে বিপাকে পড়েছে সে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা।

পাকিস্তানে শিক্ষা ব্যবস্থা তলানিতে!

সম্প্রতি এক আন্তর্জাতিক সংগঠন বিশ্বের প্রতিটি দেশে শিশুদের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে ‘সেভ দ্য চিলড্রেন’-নামে একটি সমীক্ষা পর্যালোচনা করেছিল। সেই সমীক্ষার রিপোর্ট সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে। যেখানে দেখা গিয়েছে পাকিস্তানের শিক্ষাব্যবস্থা রীতিমত পঙ্গু হয়ে গিয়েছে।

দেশের সামরিক ক্ষমতা বৃদ্ধির নেশায় শিক্ষাব্যবস্থা প্রায় তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। ভারতের সঙ্গে পাঙ্গা নিতে রীতিমত ২৩ লক্ষ কোটি টাকার ঋণের বোঝা নিয়েও প্রতিরক্ষা বাজেট ক্রমাগত বাড়িয়ে চলেছে পাকিস্তান। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে শিক্ষায়।

শিক্ষার জন্য বরাদ্দ খরচ কম

সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তানে অবস্থা ভালো অবস্থা মোটেই ভালো নয়। অর্থকষ্টে ধুঁকছে সেদেশ। তার উপর শিক্ষা নিয়ে খুব একটা নজর দেওয়া হয় না পাক সরকারের তরফে। সবসময় শিক্ষার প্রতি উদাসীনতা ও গা ছাড়া মনোভাব দেখা যায়। প্রতিটি দেশ যেখানে শিক্ষা খাতে বিপুল অর্থ বরাদ্দ করে থাকে সেখানে দাঁড়িয়ে পাক সরকার শিক্ষাখাতে খুব কম পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ করে। এদিকে সামরিক খাতে সম্পূর্ণ উল্টো চিত্র।

চড়া দামে সামরিক অস্ত্র চিন থেকে!

সম্প্রতি পাকিস্তান ইকোনমিক সার্ভের দেওয়া তথ্য থেকে জানা যাচ্ছে, ২০২৪ সালের জুলাই থেকে ২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত শিক্ষাখাতে ব্যয় প্রায় ২৯ শতাংশ কমে গিয়েছে। শিক্ষাখাতে ২০১৮ সাল থেকে জিডিপির অনুপাতে বরাদ্দ কমে গিয়ে দাঁড়িয়েছে মাত্র ০.৮ শতাংশে। যা পাকিস্তানের ইতিহাসে অত্যন্ত লজ্জাজনক।

এমনকি সমীক্ষায় জানা গিয়েছে বালুচিস্তান প্রদেশের ৪৭ শতাংশ শিশু, সিন্ধু প্রদেশে ৪৪ শতাংশ,পাঞ্জাব প্রদেশের ৩২ শতাংশ এবং খাইবার পাখতুনখোয়ায় প্রায় ২৪ শতাংশ শিশু শিক্ষাগ্রহণ থেকে বঞ্চিত। এদিকে চিন থেকে চড়া দামে পঞ্চম প্রজন্মের স্টেল্‌থ যুদ্ধবিমান জেএফ-৩৫ কেনারও সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে শরিফের সরকার।

আরও পড়ুন: ট্রেন লেট, AC নিয়ে চরম ভোগান্তি! এবার যাত্রীদের পুরো টাকাটাই ফেরত দেবে IRCTC

উল্লেখ্য, রাষ্ট্রপুঞ্জের সুপারিশ অনুযায়ী কোনও দেশের জিডিপির ৪-৬ শতাংশ হওয়া উচিত। কিন্তু পাকিস্তানের অবস্থান সেই সুপারিশকৃত মানের অনেক নীচে রয়েছে। সেখানে প্রতি তিন জন শিশুর মধ্যে এক জন স্কুলশিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। যা গোটা দেশের পক্ষে অত্যন্ত ভয়ংকর।

যদিও গত বছরেই শাহবাজ সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে ২০২৯ সালের মধ্যে জিডিপির ৪ শতাংশ শিক্ষাখাতে ব্যয় করা হবে। তবে সেটি আদেও সম্ভব হবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক শিক্ষা সংগঠন।

রাজ্য রাজনীতি, বিনোদন থেকে শুরু করে খেলা সংক্রান্ত নানা ধরনের খবরের লেটেস্ট আপডেট পেতে এখনই ফলো করুন আমাদের India Hood Bangla কে।

Leave a Comment