সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: বর্তমান ডিজিটাল যুগে মোবাইল ফোনে আসা সামান্য এসএমএস অনেক সময় বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। হ্যাঁ, সাইবার প্রতারকরা প্রতিদিন নতুন নতুন কৌশলে সাধারণ মানুষকে ফাঁদে ফেলে। আর এর মধ্যে সবথেকে বেশি ব্যবহৃত পদ্ধতি হলো ভুয়ো বা জাল এসএমএস। এই পরিস্থিতি জানিয়ে সাধারণ মানুষকে সতর্ক করতে এবার গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশিকা জারি করেছে টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (TRAI Guidelines)। TRAI জানিয়েছে, খুব সহজেই আপনি বুঝতে পারবেন আপনার মোবাইলে আসা মেসেজটি আসল নাকি ভুয়ো।
আসলে এসএমএস কীভাবে চিনবেন?
TRAI এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সমস্ত অফিসিয়াল বা অনুমোদিত এসএমএস একটি নির্দিষ্ট হেডার বা শনাক্তকরণের অক্ষর থাকে। আর এই অক্ষরগুলি সাধারণত মেসেজের শেষে দেখা যায়। এই চারটি অক্ষর মনে রাখলেই অনেক সময় নিরাপদ থাকা যায়। আর সেগুলি হল—
- P অর্থাৎ Promotional বা প্রচারমূলক বার্তা।
- S অর্থাৎ Service বা পরিষেবার সংক্রান্ত বার্তা।
- T অর্থাৎ Transactional বা লেনদেন সংক্রান্ত বিভিন্ন বার্তা। যেমন ব্যাঙ্ক, পেমেন্ট ইত্যাদি।
- G অর্থাৎ Government বা সরকারি বিভিন্ন বার্তা।
যদি এসএমএসে এই হেডারগুলির কোনওটি না থাকে, তাহলে সেই এসএমএস নিয়ে সতর্ক থাকায় সবথেকে বুদ্ধিমানের কাজ।
সাইবার প্রতারকরা কীভাবে ফাঁদ পাতছে?
আসলে TRAI এবং বিশেষজ্ঞদের মতে, ভুয়ো এসএমএস-এ সাধারণত কিছু মিল থাকা লক্ষণ দেখা যায়। প্রথমত, হঠাৎ করে ভয়, লোভ দেখানো ভাষা প্রয়োগ করা হয়। যেমন- ‘আপনি কেওয়াইসি আপডেট না করলে অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে যাবে’ বা ‘১০ লক্ষ টাকা জিতেছেন’ এরকম। আর এতে অস্বাভাবিক কিছু সন্দেহজনক লিঙ্ক থাকে, ব্যাঙ্ক বা কেওয়াইসি এমনকি পুরস্কারের নাম করে ওটিপি চাওয়া হয়। এমনকি দ্রুত কাজ করার জন্য ফোন করা বা লিঙ্কে ক্লিক করা, এমনকি রিপ্লাই পাঠাতেও বলা হয়।
আরও পড়ুন: হাদির মৃত্যুর মাঝেই খুলনায় গুলিবিদ্ধ এনসিপি নেতা, অবস্থা আশঙ্কাজনক!
আর বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলছে যে, যদি কোনও অচেনা লিঙ্কে ক্লিক করেন বা ভুল ওয়েবসাইটে ঢুকে পড়েন, এমনকি সেখানে ভুল তথ্য দিয়ে ফেলেন, তাহলে সাইবার প্রতারকরা সহজেই আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফাঁকা করে দিতে পারে। মনে রাখবেন, ব্যাঙ্ক বা সরকারি সংস্থা কখনও এসএমএস বা ফোনের মাধ্যমে ওটিপি চায়না। তাই সাইবার জালিয়াতি মানতে অবশ্যই TRAI এর এই নিয়মকানুন মেনে চলুন।